খেলা বিভাগে ফিরে যান

ডার্বি জিতে পরের ম্যাচেই ৫ গোল খেলো এটিকে মোহনবাগান

December 1, 2021 | 2 min read

কলকাতা মাঠে একটা চালু প্রবাদ আছে। তা হল ডার্বি জেতার পরের ম্যাচটা জেতা খুব কঠিন। সত্তর-আশি-নব্বই দশকে মোহনবাগান-ইস্ট বেঙ্গল ডার্বি জেতার পর ম্যাচ হেরে ঘরে ফিরেছে এ রকম অনেক উদাহরণ আছে। দেখা যাচ্ছে শতাব্দী পেরিয়ে মোহনবাগান যখন এটিকের সঙ্গে যুক্ত হল, তখনও সেই হুডু তাদের পিছনে ছাড়ল না। আই এস এল-এ মুম্বই সিটি এফ সি গত বছর থেকেই মোহনবাগানের শনি হয়ে দেখা দিচ্ছে। গত বার তারা কলকাতার দলটাকে পর পর তিন বার হারিয়েছে। বছর ঘুরেও মোহনবাগানের দুর্দশা কাটল না। এবার অবশ্য হারটা শুধু হার নয়, যাকে বলে গোহারা হার। লজ্জার এক শেষ। মোহনবাগানের মতো দল পাঁচ গোল খেয়ে হারছে এটা অকল্পনীয়।

তবে সত্য ঘটনা তো সব সময়েই কল্পনাকে হার মানায়। মোহনবাগানের ক্ষেত্রেও তাই হল। চার মিনিটের মধ্যে সেই যে গোল খাওয়া শুরু হল তার পর যেন আর বিশ্রাম নেই। বিরতির আগেই ৩-০। বিরতির পর সাত মিনিট যেতে না যেতেই আরও দুটো গোল। আগের দিন ইস্ট বেঙ্গলও ছয় গোল খেয়েছিল ওড়িশার কাছে। কিন্তু জঘন্য ফুটবল খেলেও ইস্ট বেঙ্গল তবু চারটে গোল করেছিল। কিন্তু মোহনবাগান? এক এক দিন এ রকম হয়। সেই ১৯৭৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আই এফ এ শিল্ড ফাইনালে মোহনবাগান পাঁচ গোল খেয়েছিল ইস্ট বেঙ্গলের কাছে। তার পর আবার এ রকম কেলেঙ্কারির ম্যাচ। তবে সে ম্যাচে মোহনবাগানের কেউ লাল কার্ড  দেখেনি। বুধবার মারগাওয়ের ফাতোরদা স্টেডিয়ামে মোহনবাগান কিন্তু বিরতির পরেই দশ জনে হয়ে যায়। বিক্রম সিংকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন সেন্টার ব্যাক দীপক ট্যাংরি। পর পর দুটো ম্যাচে জেতার পরেও বাগান কোচ আন্তোনিও হাবাস বলেছিলেন তাঁর টিমের ডিফেন্স নিয়ে সমস্যা আছে। কিন্তু সেটা যে এভাবে তাঁর টিমকে ডোবাবে তা মনে হয় তিনি দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি। তাঁর দুই সাইড ব্যাক প্রীতম কোটাল ও শুভাশিস বসুকে জঘন্য বললেও খুব কম বলা হয়। আই এস এল-এ প্রীতমের এটা শততম ম্যাচ ছিল। তিনি বা তাঁর দল যা খেলল তাতে ম্যাচটা ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। তবে পারবেন বলে মনে হয় না। আর শুভাসিশ? ইস্ট বেঙ্গলকে তিন গোল দেওয়ার পরেও ট্রোল্ড হয়েছিলেন। এদিনের ম্যাচের পর ট্রোল্ড হলে কেউ কিছু বলতে পারবে না।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#ISL, #ATK Mohunbagan, #mumbai city fc

আরো দেখুন