গোয়ার পর লক্ষ্য মেঘালয়, শিলংয়ে যেতে পারেন মমতা
জাতীয় স্তরে জমি শক্ত করার মরিয়া চেষ্টায় তৃণমূল (TMC)। ত্রিপুরা, গোয়া, মেঘালয়ে চলছে সংগঠনকে শক্তিশালী করার কাজ। ত্রিপুরার পর এবার পাখির চোখ গোয়া বিধানসভা নির্বাচন। আর সে কারণেই ফের গোয়া সফরে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেতে পারেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।
সূত্রের খবর, আগামী ১৩ ডিসেম্বর গোয়া (Goa) যেতে পারেন দু’জনে। মাত্র দু’দিনের সফরে ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে। সূত্রের খবর, তার আগে অবশ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেলা সফরে যাওয়ার কথা। সম্ভবত ৭ ডিসেম্বর উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। ওইদিনই প্রথমে গঙ্গারামপুরে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন মমতা। এরপর যাবেন রায়গঞ্জে। সেখানেও প্রশাসনিক বৈঠক করার কথা রয়েছে তাঁর। তার ঠিক পরের দিন অর্থাৎ ৮ তারিখ মালদহ এবং মুর্শিদাবাদে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেখানকার সমস্ত কাজের খতিয়ান নেবেন। কথা বলবেন জেলাশাসক, বিডিও ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে। ৯ তারিখ মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠক করবেন নদিয়ার কৃষ্ণনগরে। তারপরেই তিনি যাবেন গোয়ায়। মূলত সংগঠন বিস্তারের কাজই করবেন দলনেত্রী।
এই মুহূর্তে ত্রিপুরার বাইরে পশ্চিম ভারতের সৈকত রাজ্যে সংগঠন বিস্তারে ঝাঁপিয়ে পড়েছে বাংলার শাসকদল। ইতিমধ্যে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোয়ায় ঘুরে এসেছেন। তাঁর হাত ধরে সেখানে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়েছেন খ্যাতনামা টেনিস তারকা লিয়েন্ডার পেজ, অভিনেত্রী নাফিসা আলি, গায়ক রেমো ফার্নান্ডেজ। গোয়া থেকে দলকে শক্তিশালী করেই ফিরেছেন মমতা। পরে অবশ্য তিনি গোয়ায় সংগঠন তৈরির ভার সঁপে দিয়েছেন দলের অন্যতম ভরসাযোগ্য সাংসদ মহুয়া মৈত্রর (Mohua Moitra) হাতে। দায়িত্ব পেয়েই গোয়ার মাটি আঁকড়ে পড়ে রয়েছেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ। নিয়মিত কর্মিসভা, রণকৌশল স্থির করতে বৈঠক করছেন। তাঁর হাত ধরেও তৃণমূল শিবিরে নাম লেখাচ্ছেন আরও অনেকে।
শোনা যাচ্ছে, গোয়ার একমাত্র এনসিপি বিধায়ক চার্চিল আলেমাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাতের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এরই মাঝে অবশ্য রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) গোয়ায় গিয়ে ফরোয়ার্ড পার্টির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। জোটের কথা ঘোষণাও করে দিয়েছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল সুপ্রিমোর গোয়া সফর যে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।