পুজোর আগেই ১০ লক্ষ গৃহহীনকে বাড়ি, নবান্নর নির্দেশ
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন ১০ লক্ষ গরিবকে বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে। সেই নির্দেশ মেনে গত এক মাসে ৪ লক্ষ ২১ হাজার মানুষের তালিকা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের ২২ টি জেলায় একটি করে শোয়ার ঘর, বারান্দা, রান্নার জায়গা ও শৌচাগার সমেত বাড়ি তৈরির কাজে হাত দিয়েছে রাজ্য। পুজোর আগেই নির্মাণ কাজ শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ২১ এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রী গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে ১০০ দিনের কাজ, বাংলার আবাস যোজনায় গরিব মানুষের বাড়ি, গ্রামীণ সড়ক যোজনার মাধ্যমে রাস্তা নির্মাণ সহ একগুচ্ছ প্রকল্প শুরু করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেইমত জেলায় জেলায় বাংলার আবাস যোজনায় গরিব মানুষকে বাড়ি করে দিতে পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির কাজও শুরু হয়।
যাঁদের কাঁচা বাড়ি, অথবা মাথার ওপর কোনও পাকা ছাদ নেই, এরকম মানুষকেই ওই তালিকায় রাখা হয়েছে। যাঁদের নাম তালিকায় আছে তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি তিন কিস্তিতে বাড়ি তৈরির টাকা চলে যাবে। বাড়ি তৈরিতে দেওয়া হয় এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা। তবে জঙ্গলমহল এলাকার মানুষরা পান ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা।
এই তালিকায় উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ সহ বিভিন্ন বড় জেলার লোকজন বেশি স্থান পেয়েছেন। কাজ দ্রুত সম্পূর্ণ করার জন্য পঞ্চায়েত দপ্তর থেকে সাতমাস আগে চলে যাওয়া ১০০ দিনের কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার দিব্যেন্দু সরকারকে ফের পঞ্চায়েত দপ্তরের সচিব করে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী চান, ১০০ দিনের কাজের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকদের দিয়েই গরিব মানুষের বাড়ি তৈরি করা হোক। এর দুটো উদ্দেশ্য, এক, এতে সহজে গরিব মানুষের বাড়ি যেমন তৈরি হয়ে যাবে, তেমনি ১০০ দিনের কাজে যুক্ত লক্ষ লক্ষ মানুষও কাজ পাবেন। এভাবে গ্রামের মানুষকে রোজগার পাইয়ে দেওয়াই মুখ্যমন্ত্রীর লক্ষ্য। ঘূর্ণিঝড়ে যাঁদের বাড়ি ভেঙে গিয়েছে তাঁদের অনেকেই এই তালিকায় থাকতে পারেন।