রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

কী কী নিয়ম মেনে পড়ুয়ারা প্রাক প্রাথমিকে ভরতি হবে, জানাল স্কুলশিক্ষা দপ্তর

December 4, 2021 | 2 min read

বছর প্রায় শেষ। জানুয়ারি থেকে স্কুলে শুরু নতুন শিক্ষাবর্ষ। প্রাক প্রাথমিক (Pre parimary) থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ভরতি প্রক্রিয়া (School Admission) শুরু করে দিল স্কুলশিক্ষা দপ্তর। শুক্রবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দপ্তর জানিয়েছে, ডিসেম্বরের ৭ তারিখ থেকে শুরু হবে ভরতি। কোনও স্কুল চাইলে আগামী শিক্ষাবর্ষে ভরতির নির্দিষ্ট বয়সে চারমাস ছাড় দিতে পারে। কী কী নিয়ম মেনে ছাত্রছাত্রীদের প্রাক প্রাথমিকে ভরতি নেওয়া হবে, তাও নির্দিষ্ট করে দিয়েছে স্কুলশিক্ষা দপ্তর (School Education Department)।

কোভিড (COVID-19) বিধি মেনে ৭ থেকে ১৪ ডিসেম্বর ভরতির ফর্ম দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্কুলশিক্ষা দপ্তর। ১৫ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে হবে লটারি। স্কুলগুলিকে চলতি মাসের ২১ থেকে ২৪ তারিখের মধ্যে ভরতি প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। শিক্ষার অধিকার আইন মেনে প্রাক-প্রাথমিক থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ভরতিতে প্রবেশিকা পরীক্ষা (Admission Test) নেওয়া যাবে না। পড়ুয়া বা অভিভাবকদের ইন্টারভিউও নিষিদ্ধ। স্কুলে আসন বাড়াতে চাইলে স্কুলশিক্ষা দপ্তরের কমিশনারের কাছে আবেদন করতে হবে।

কোনও পড়ুয়া লটারির মাধ্যমে সুযোগ না পেলে নির্দিষ্ট জেলার ডিআইকে (DI) জানাতে হবে। বাড়ির কাছের কোনও স্কুলে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সেই ছাত্র বা ছাত্রীকে ভরতিকে করা হবে। শিক্ষার অধিকার আইন মোতাবেক ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত (বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের ১৮ বছর) সবাইকে স্কুলশিক্ষার অধীনে আনতে তৎপর রাজ্য সরকার। প্রাক প্রাথমিকে ভরতির বয়স পাঁচ থেকে ছ’বছরের মধ্যে বয়স হতে হবে। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত এই বয়সের সীমা বাড়বে এক বছর করে। এদিনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোনও স্কুলের প্রধান শিক্ষক চাইলে ভরতির সময় ছাত্রছাত্রীদের বয়সে চার মাস ছাড় দিতে পারবেন। অর্থাৎ নির্দিষ্ট ক্লাসে ভরতির বয়সের চেয়ে চারমাস বেশি বা কম হলে তা মঞ্জুর করতে পারবেন প্রধান শিক্ষক।

করোনা (Coronavirus) আবহে স্কুল দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। ১৬ নভেম্বর থেকে দ্বিতীয় দফায় নবম থেকে দ্বাদশের ক্লাস চলছে। রাজ্যের সরকারি, সরকার পোষিত, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত ও মডেল স্কুলে ভরতির নির্দেশিকার জন্য অপেক্ষায় ছিলেন অভিভাবকরা। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর স্বস্তির হাওয়া সব মহলে। সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সম্পাদক সৌগত বসুর বক্তব্য, “অভিভাবকরা ভরতি নিয়ে প্রবল দুশ্চিন্তায় ছিলেন। দেরিতে হলেও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ফলে আমরা সবাই স্বস্তি পেলাম।”

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#School, #Education department, #Primary school Admission, #West Bengal

আরো দেখুন