জানুয়ারিতে দুয়ারে সরকারে যোগ হচ্ছে আরও দু’টি প্রকল্প
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের ‘দুয়ারে সরকারে’র জানুয়ারি মাসের শিবিরে আরও দু’টি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করছে নবান্ন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, খাদ্যসাথী, এসসি-এসটি সার্টিফিকেট, কৃষকবন্ধুর মতো ১৮টি প্রকল্পের সঙ্গে মৎস্যজীবী ক্রেডিট কার্ড এবং আর্টিজান ক্রেডিট কার্ড যুক্ত হচ্ছে। দুয়ারে সরকার শিবিরে এসে সরাসরি ওই দু’টি কার্ড পাওয়ার জন্য নাম নথিভুক্ত করা যাবে। নথিভুক্তরা ওই দু’টি কার্ড পাবেন। সেই সঙ্গে প্রতিটি শিবিরে লোকপ্রসার শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করবেন। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর হাতে তৈরি পণ্যের স্টল করা হবে। যেখানে বাংলার ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্প থাকবে। হবে ফুড স্টলও।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়েছিলেন মানুষের কাছে সরকার পৌঁছে যাক। সে কারণেই দুয়ারে সরকার শিবির চালু করেন। গত বছর থেকে তা চালু হয়। প্রথমবারের শিবিরে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড এবং পরের শিবিরে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের চাহিদা তুঙ্গে ওঠে। ভোর থেকে মহিলারা ক্যাম্পের সামনে লাইন দেন। দুয়ারে সরকার এত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে যে মানুষকে দীর্ঘসময় লাইন দিয়ে নাম নথিভুক্ত করাতে দেখা যায়। তাঁরা বিভিন্ন পরিষেবা ক্যাম্পে গিয়ে পেয়েও যান। দেড় কোটির বেশি মহিলা দুয়ারে সরকারে নাম লিখিয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে প্রতি মাসে টাকা পেয়ে যাচ্ছেন। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ফের জানুয়ারি মাসে দু’দফায় দুয়ারে সরকার শিবির করা হবে। প্রথম দফায় ২-১০ জানুয়ারি এবং দ্বিতীয় দফায় ১০-২০ জানুয়ারি।
গঙ্গাসাগর মেলার জন্য এবার ১০দিন বন্ধ রাখা হবে। রাজ্য সরকারের পরিকল্পনা ও পরিসংখ্যান দপ্তর থেকে সব জেলাশাসক এবং সব দপ্তরের প্রধান সচিবকে নির্দেশ পাঠিয়ে দু’দফায় শিবির করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। সেই সঙ্গে নির্দেশে বলা হয়েছে, শিবিরে যে সমস্ত আবেদন জমা পড়বে তা ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান কন্যাশ্রী, রূপশ্রী ও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো মৎস্যজীবী ক্রেডিট কার্ড ও আর্টিজান ক্রেডিট কার্ড শিবির থেকে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। হাওড়া জেলা প্রশাসনিক বৈঠকে মৎস্যজীবী ক্রেডিট কার্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এর জন্য সব জেলাশাসক ও দপ্তরের প্রধান সচিবের সঙ্গে দুয়ারে সরকার শিবির নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দুয়ারে সরকার শিবির করতে হবে। যেখান থেকে ২০টি পরিষেবা দেওয়া হবে। তার জন্য সরকারি স্তরে সবরকম প্রস্তুতি নিতে হবে।