জাদুঘরে সিপিএম – পুরভোটের আগে বামকে তুলোধোনা তৃণমূলের মুখপত্রে
প্রায় প্রতিদিনই নিজেদের মুখপত্রে কংগ্রেসকে তুলোধোনা করছে তৃণমূল। কংগ্রেসের নীতি, মানসিকতা, কর্মসূচি নিয়ে বারবার প্রশ্ন তোলা হচ্ছে ‘জাগো বাংলা’য়। এমনকী শুক্রবারই ‘কংগ্রেস ডিপফ্রিজে’ চলে গিয়েছে বলেও কটাক্ষ করা হয়। জাতীয় স্তরে বিজেপির বিকল্প মুখ যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই, তা উঠে এসেছে তাদের কলামে। আর এবার পুরভোটের আগে তৃণমূলের নিশানায় সিপিএম।
রাজ্য থেকে কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে বামেরা। বিধানসভা থেকে লোকসভা- সব লড়াইতেই তাদের নিট ফল শূন্য। এভাবেই বাংলায় ৩৪ বছর ক্ষমতায় থাকা পার্টিকে আক্রমণ করা হল তৃণমূলের মুখপত্রে। এমনকী খোঁচা দিয়ে বলা হয়েছে, নিজেদের নাম জাদুঘরে খোদাই করে রাখার চ্যালেঞ্জ নিয়েছে বামেরা। শনিবার ‘জাগো বাংলা’র (Jago Bangla) সম্পাদকীয়তে লেখা হয়, “কলকাতার ধর্মতলা চত্বরে প্রায় শতাব্দীপ্রাচীন বহু বাড়ি রয়েছে। তার মধ্যে একটি সাদা বাড়ি, যাকে কলকাতার মানুষ জাদুঘর হিসেবেই জানেন।… সেই জাদুঘরেই নিজেদের নাম খোদাই করে রাখার জন্য চ্যালেঞ্জ নিয়েছে রাজ্যের বামেরা। ২৩৬ থেকে এখন তারা আক্ষরিক অর্থেই শূন্য। বিধানসভায় শূন্য। লোকসভায় শূন্য। কলকাতা পুরনির্বাচন শেষ হলে সেখানেও বিগ জিরো নিশ্চিত। পঞ্চায়েতেও ঘটনার পুনরাবৃত্তি।”
এরপরই কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বাঁধা নিয়ে দেওয়া হয়েছে খোঁচা। লেখা হয়েছে, “কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে ভরাডুবির পরেও সিপিএম নেতাদের চেতনার এতটুকুও পরিবর্তন হয়নি। শরিকদের হুমকি উপেক্ষা করে কংগ্রেসের জন্য বেসরকারি ভাবে আসন ছেড়ে নিজেদের জেদ বজায় রেখেছে। জেদের রেজাল্ট আলিমুদ্দিনও জানে, জানে বিধানভবনও।”
আসন্ন পুরভোটে একক ভাবে লড়াইয়ের বার্তা দিয়েও বেশ কিছু আসন ছেড়ে রেখে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের রাস্তা খুলে রেখেছে বামেরা। কিন্তু কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আখেরে যে বামেরা নিজেদেরই ক্ষতি করছে, সে কথাই যেন বুঝিয়ে দিতে চাইল তৃণমূল।