কংগ্রেস ০ আসন পাবে, মমতাকে ভোটে লড়াইয়ে স্বাগত জানালেন অখিলেশ
নির্বাচনী প্রচারে অনেক আগেই তৃণমূলের ‘খেলা হবে’ গানের অনুকরণে ‘খেলা হইবে, খদেড়া হইবে’ গান বেঁধেছিল অখিলেশ সিংহ যাদবের দল সমাজবাদী পার্টি। এ বার তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোটে লড়াইয়ে রাজ্যে স্বাগত জানালেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। অখিলেশ মনে করেন, যে ভাবে পশ্চিমবঙ্গে মমতা বিজেপি-কে ‘সাফ’ করে দিয়েছেন ২০২২-এ একই ভাবে উত্তরপ্রদেশের শাসকদলকে সরিয়ে দেবে ‘জনতা’।
বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-কে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে ইতিমধ্যেই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির বিকল্প মঞ্চ তৈরি করছেন অখিলেশ। সেই মঞ্চে তিনি তৃণমূলকেও চাইছেন। পশ্চিবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের সময়ও নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে তৃণমূলের প্রচারে থাকতে চেয়েছিলেন তিনি।
তবে, কংগ্রেসের প্রশ্নে তাঁর অবস্থান তৃণমূলের মতো। একটি সর্বভারতীয় টিভি চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অখিলেশ বলেন, ‘‘মানুষ কংগ্রেসকে চাইছে না। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে শূন্য আসন পাবে তারা।’’
২০১৭ সালের বিধাসভা নির্বাচনে কংগ্রেস-সপা একসঙ্গে কাজ করলেও দু’দলের মধ্যে দুরত্ব অনেকটাই বেড়েছে। বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদে এক জনসভায় প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা, লখিমপুরে কৃষকমৃত্যুর পর অখিলেশ যাদবের না যাওয়াকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছেন। কিন্তু, এ নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামাচ্ছেন না অখিলেশ। তিনি জানিয়েছেন, ‘‘আমাদের অভিজ্ঞতা ভাল নয়। উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসকে বাতিল করেছে।’’ তবে বিরোধী জোট থেকে একেবারে বাদ দেওয়া কথা তিনি বলেননি। এ ক্ষেত্রে তাঁর অবস্থান তৃণমূলের মতোই।
তৃণমূল মনে করছে, কংগ্রেস বিজেপি-বিরোধী জোটের নেতৃত্ব দেওয়ার অবস্থানে নেই কংগ্রেস। তবে, কংগ্রেসকে বিরোধী জোটের বাইরে রাখার পক্ষে নন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুম্বইয়ে শরদ পওয়ারে সঙ্গে একটি বৈঠকের পর নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন তৃণমূল নেত্রী। দিল্লি গেলেও দেখা করেননি সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে। উত্তরপ্রদেশেও বিজেপি-বিরোধী লড়াইয়ে অখিলেশ কংগ্রেসকে নেতৃত্বদায়ী শক্তি হিসাবে মনে করছেন না।