দক্ষিণবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

দেউচা পাচামির আদিবাসীদের গ্রামীণ পরিবেশেই পুনর্বাসন দেবে রাজ্য

December 4, 2021 | 2 min read

সিঙ্গুরের মতো জোর করে জমি অধিগ্রহণ করা হবে না। দেউচা পাচামি প্রকল্পের কথা ঘোষণা করতে গিয়ে এমনই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, সরকারের ঘোষিত প্যাকেজ নিয়ে সংশয় দেখা গিয়েছিল আদিবাসীদের মনে। সবথেকে বড় আশঙ্কা ছিল, খনি এলাকায় যাঁরা থাকছেন, সরকার জমি অধিগ্রহণ করলে তাঁরা কোথায় যাবেন? সমস্ত আশঙ্কা মেটাতে ধীরে ধীরে ক্রমান্বয়ে পাচামি প্রকল্প সফল করতে পদক্ষেপ করছে সরকার। এ বার, বীরভূম জেলাশাসক বিধান রায় স্পষ্টই জানালেন, আদিবাসীদের নতুন ফ্ল্যাটবাড়ি নয়, বদলে গ্রামীণ পরিবেশেই পুনর্বাসন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

ঠিক কী বলেছেন জেলাশাসক বিধান রায়? তাঁর কথায়, ‘আদিবাসীদের সর্বাধিক সংশয় ছিল তাঁদের জমি অধিগ্রহণ করা হলে তাঁরা কোথায় যাবেন। এছাড়া তাঁদের সংস্কৃতি নষ্ট হতে পারে। সেইসব কথা চিন্তা করেই সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আদিবাসীদের কোনও নতুন ফ্ল্যাটবাড়ি নয়, বদলে মহম্মদবাজার ব্লকেই গ্রামীণ পরিবেশেই আদিবাসীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।

জেলাশাসক আরও জানিয়েছেন, পাচামির কতটা এলাকা জুড়ে কয়লা রয়েছে তা জানতে দেওয়ানগঞ্জ ও হরিণশিঙায় কূপ খনন করা হবে। মাটির কতটা নীচে কয়লা রয়েছে তাও পরীক্ষা করা হবে ওই কূপ খননের মাধ্য়মেই। স্থানীয়রা যেন কোনও গুজবে কান না দেন এমনটাই দাবি করেছেন জেলাশাসক। শুধু তাই নয়, পাচামি প্রকল্প সংক্রান্ত কোনও জিজ্ঞাস্য থাকলে পঞ্চায়েত ব্লক এবং জেলার অফিসেও জিজ্ঞাসা করা যাবে। তবে লোবা নিয়ে এখনই কোনও আলোচনা হচ্ছে না বলেই জানিয়েছেন জেলাশাসক। যদিও, এই ঘোষণায় আদিবাসীদের তরফ থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

দেউচা পাচামির প্রকল্পের কাজে কোমরবেঁধে লেগেছে রাজ্য সরকার। বুধবারই, ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালের নির্দেশে দেউচা পাচামির একাধিক খাদান ঘুরে দেখেন রাজ্য সরকার নিয়োজিত চার সদস্যের বিশেষ প্রতিনিধি দল। এলাকায় কতটা দূষণ হচ্ছে, কয়লা খাদান হলেই বা কতটা দূষণ হতে পারে তা খতিয়ে দেখতেই মঙ্গলবার আধিকারিকরা খনি এলাকায় আসেন। যদিও তা নিয়ে প্রকাশ্যে তাঁরা বিশেষ কিছু বলতে চাননি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#deucha pachami coal block

আরো দেখুন