অমিত শাহের ফোন পেয়ে আলোচনার জন্য কমিটি গঠন কিষাণ মোর্চার
কৃষক আন্দোলন যে উত্তরপ্রদেশ ভোটে দলের কাঁটা হতে পারে, তা বিলক্ষণ টের পাচ্ছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার করে কৃষক সমাজকে একটি ইতিবাচক বার্তাও দিয়েছে মোদি সরকার। কিন্তু কৃষকরা এখনও নিজেদের দাবিদাওয়া আদায়ে অনড়। তাঁদের সাফ কথা, ন্যূনতম সহায়ক মূল্য আইন সহ বাকি দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে। এতেই প্রমাদ গুনেছেন মোদি-শাহ। সূত্রের খবর, কৃষকদের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দিয়ে দু’জন নেতাকে শুক্রবার রাতে ফোন করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ওইদিনই হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরের সঙ্গে বৈঠক করেন ওই রাজ্যের কৃষক প্রতিনিধিরাও। শনিবার নির্ধারিত আলোচনা ছিল সংযুক্ত কিষান মোর্চার। সেখানে সরকারের সঙ্গে আলোচনার জন্য পাঁচ সদস্যর কমিটি গঠন করা হয়। কৃষক নেতারা স্পষ্টই বলেছেন, সরকারের সঙ্গে তারাও আলোচনায় প্রস্তুত। কিন্তু সেই আলোচনা ব্যাক ডোর দিয়ে হবে না। কৃষকদের পাঁচ সদস্যের কমিটির সঙ্গেই আলোচনায় বসতে হবে সরকারকে। দাবি না মেটা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। সংযুক্ত কিষান মোর্চার এক নেতা জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ফোন করেছিলেন। তিনি বলেন, আইন প্রত্যাহার করা হয়েছে। চলতে থাকা আন্দোলনের সমাধানের ব্যাপারে সরকার আন্তরিক।
সরকারের সঙ্গে কমিটির আলোচনার নির্যাস ৭ ডিসেম্বর কিষান মোর্চার বৈঠকে উঠবে। তারপরে ঠিক হবে সীমানা থেকে কৃষকরা ফিরে যাবে নাকি আন্দোলন চলবে।কৃষি আইন প্রত্যাহার করলেও, কৃষকদের মধ্যে ভাঙন ধরানোর একটা চেষ্টা সরকার তলে তলে করছে বলে আগেই অভিযোগ করেছিল কিষান মোর্চা। সেই কারণে এদিনের বৈঠক শেষে বিবৃতিতে কৃষক নেতারা স্পষ্টই জানিয়েছেন, বকেয়া দাবি নিয়ে কেন্দ্রকে কথা বলতে হবে মোর্চার এই পাঁচ সদস্যর কমিটির সঙ্গেই। বকেয়া দাবিগুলোর মধ্যে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে এমএসপি আইন কার্যকর করার বিষয়টি। এছাড়া বিদ্যুৎ বিল ২০২০ প্রত্যাহার, কৃষকদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা প্রত্যাহার, শহিদ কৃষকদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ, চাকরি, পুনর্বাসন এবং শহিদ কৃষকদের স্মৃতিতে সৌধ তৈরির জন্য সিংঘু সীমানায় জমি প্রদান। আগামী ৭ ডিসেম্বর ফের সিংঘু সীমানায় বৈঠকে বসবেন কৃষক নেতারা। কিষান মোর্চা জানিয়েছে, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবেই।