লাদাখের পরিস্থিতি খোলসা করে জানাক মোদী সরকার, দাবি রাহুলের
লাদাখে চিনা আগ্রাসন ইস্যুতে পরোক্ষে সরকারের উপরে চাপ সৃষ্টি করল কংগ্রেস। মঙ্গলবার দলের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেছেন, সেখানকার বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে অবিলম্বে দেশের জনগণকে জানানো উচিত মোদী সরকারের। কেন্দ্রের উচিত এই বিষয়ে স্বচ্ছতা বজায় রাখা। পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনা সেনার সঙ্গে ভারতীয় বাহিনীর সংঘাতের যে খবর প্রকাশ্যে আসছে তার পরিপ্রেক্ষিতে এই মন্তব্য করেছেন রাহুল।
এদিন ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাহুল। তিনি বলেন, ‘আমরা নানা কথা শুনছি। শুধুমাত্র এই সমস্ত গল্পের ভিত্তিতে আমি কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে চাই না। একইভাবে সবিস্তার না জেনে কোনও মন্তব্য করাও সঠিক হবে না।’
কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি আরও বলেন, ‘তবে এই মুহূর্তে সীমান্তের পরিস্থিতি কী, সেই বিষয়ে জনগণকে বিশদে জানানো উচিত সরকারের। এই বিষয়ে সঠিক তথ্য জানতে না পারলে আমাদের পক্ষে অবস্থান স্থির করা কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়াবে। গোটা ঘটনায় আমি কোনও স্বচ্ছতা দেখতে পারছি না। বিশেষত লাদাখ এবং চিন একটি জীবন্ত ইস্যু। সুতরাং এই নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করত চাই না। গোটা বিষয়টি সরকারের উপরে ছেড়ে দিয়েছি। তবে সরকারি স্তরে চূড়ান্ত স্বচ্ছতার প্রয়োজন। সরকার খোলসা করে জানাক, সেখানে কি চলছে।’
খবরে প্রকাশ, পূর্ব লাদাখের লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কনট্রোলের আশপাশের এলাকায় ইতোমধ্যে দুই থেকে আড়াই হাজার সেনাকর্মী মোতায়েন করেছে চিন। একই সঙ্গে বাড়ছে লালফৌজের অস্থায়ী সেনা ছাউনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারতীয় সেনা বাহিনীর এক উচ্চ পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘ওই এলাকায় প্রতিপক্ষ চিনের থেকে ভারতীয় সেনার শক্তি অনেক বেশি।’ যে কারণে ভারতের সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে প্যাংগং সো এবং গালওয়ান উপত্যকায় বাড়ানো হয়েছে জওয়ানের সংখ্যা। যদিও দিল্লির তরফে এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে কোনও মন্তব্যে করা হয়নি।