রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

আত্রেয়ী-পূর্নভাবায় জল সংকট মেটাতে উদ্যোগ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী

December 8, 2021 | 2 min read

আত্রেয়ী-পূর্নভাবায় জল সংটের দরুণ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ, গতকাল দুই দিনাজপুরের প্রশাসনিক বৈঠকে এমনটাই জানালেন রাজ্য মন্ত্রীসভার সদস্য বিপ্লব মিত্র। সেই সমস্যার আশু সমাধানে উদ্যোগ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার অন্যতম প্রধান দুই নদী হল আত্রেয়ী ওপূর্নভাবা। দুটি নদীই আন্তর্জাতিক সীমা অতিক্রম করে বাংলাদেশ থেকে এসে ভারতে প্রবেশ করেছে। এই দুটি নদীর উপরের নির্ভর করেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ মানুষ। এই দুই নদীরই জল কমে যাওয়ায় ঐ জেলার প্রায় ১৭ লক্ষ মানুষ সরাসরি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। জীবন-জীবিকার জন্য তারা প্রায় প্রত্যেকেই আত্রেয়ী ও পূর্নভাবার উপর নির্ভরশীল ছিলেন। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ সরকার আত্রেয়ী নদীর বাংলাদেশে প্রবাহিত অংশে বাঁধ নির্মাণ করেছে, যার ফলে নদীর ভারতে প্রবাহিত অংশে জলের পরিমাণ হ্রাস পাচ্ছে।

ফলত জেলার মাছ চাষ এবং কৃষি কাজের সমূহ ক্ষতি হচ্ছে। সাধারণ মানুষের জীবন ও অর্থনীতিকে বাঁচতে ইতিমধ্যেই উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক আয়েষা রানি নিজে জানিয়েছেন, নদীর জলস্তর হ্রাস পাওয়ায় মৎসজীবিদের খুবই অসুবিধা হচ্ছে এবং কৃষি কাজেরও সমস্যা হচ্ছে। জেলাশাসক নিজে সরজমিনে সমস্যা খতিয়ে দেখেছেন, বাংলাদেশ সরকারের নির্মাণ করা বাঁধই বাংলায় আত্রেয়ীয়ের জলস্তর হ্রাসের একমাত্র কারণ।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, এই সমস্যার সমাধান খুঁজতে মুখ্যমন্ত্রী নিজে এর আগেও একাধিকবার ভারত সরকারের কাছে দরবার করেছেন। বাংলাদেশ সরকারের কাছেও তিনি এই বিষয়টি উত্থাপন করেছেন। যেহেতু বিষয়টি দুই দেশের সরকারের মুখাপেক্ষি, তাই বহুদিন ধরেই দুই সরকারের কাছে চিঠি করে আসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এরই মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমবঙ্গ সরকার আত্রেয়ী নদীর উপর জলাধার বানানোর জন্য ৩২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্থ স্থাপন করেছেন।

এই বাঁধ আত্রেয়ী নদীর উপর গড়ে উঠেতে চলেছে, বর্ষায় নদীর জল সঞ্চয় করবে বাঁধটি। যার ফলে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত নদী অংশে সারা বছর জল থাকবে। কৃষিজীবি ও মৎসজীবিদের সুরাহা করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রাজ্য জলসেচ দপ্তরকে দ্রুত নির্মাণ কাজ শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যেহেতু নদী দুটি ভারত-বাংলাদেশ, উভয় দেশের মধ্যে দিয়েই প্রবাহিত। তাই এটি আন্তর্জাতিক বিষয়, তাই মুখ্যমন্ত্রী জানালেন তিনি ফের ভারত সরকারকে এই সমস্যা সমাধানের জন্য চিঠি লিখবেন। দৃশ্যত সুষ্পষ্ট আত্রেয়ী-পূর্নভাবা নদী দুটির জলসংকটের দ্রুত এবং স্থায়ী সমাধান খুঁজতে বদ্ধ পরিকর রাজ্য সরকার।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Atrai, #water crisis, #Mamata Banerjee, #Atrai River, #Punarbhaba

আরো দেখুন