আমিষ খাবার বিক্রির উপর কেন নিষেধাজ্ঞা! আমেদাবাদ পুরসভাকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের
রাস্তার ধারে আমিষ খাবার বিক্রির নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বৃহস্পতিবার আমেদাবাদ পুরসভার তীব্র সমালোচনা করল গুজরাত হাইকোর্ট। রীতিমতো ধমক দিয়ে বিচারপতি বীরেন বৈষ্ণবের বেঞ্চ পুরসভার আইনজীবীকে বলে, আপনি আমিষ খাবার পছন্দ নাও করতে পারেন। কিন্তু, একজন ব্যক্তির বাইরে কী খাওয়া উচিত, তা নিয়ে আপনি কী করে সিদ্ধান্ত নেন? মানুষের পছন্দসই খাবার থেকে আপনি কীভাবে তাঁদের বিরত থাকতে বলতে পারেন?
গত মাসে আমেদাবাদ পুরসভা শহরের রাস্তার ধারে আমিষ খাবার বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এরপরেই জীবিকা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন বিক্রেতারা। প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, হোটেলকে ছাড় দিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের উপর এই নিষেধাজ্ঞার অর্থ কী? সেখান থেকে কি খাবারের গন্ধ ভেসে আসে না? আমেদাবাদ পুরসভার এই ‘আমানবিক’ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন একদল বিক্রেতা। এদিন সেই মামলার শুনানি ছিল। সেখানে আমেদাবাদ পুরসভার তীব্র সমালোচনা করে গুজরাত হাইকোর্ট।
ভেন্ডারদের আইনজীবী রনিত জয় পুরসভার এই সিদ্ধান্ত সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদের (জীবনযাত্রা চালাতে জীবিকার অধিকার) পরিপন্থী বলে যুক্তি দেন। তিনি বলেন, শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে গুজরাতে আমিষ খাবার তৈরি ও বিক্রি হচ্ছে। ডিম ও অন্যান্য আমিষ খাবার বিক্রির নিষেধাজ্ঞা না সংবিধানে রয়েছে, না সংসদে এ নিয়ে আইন তৈরি হয়েছে। এরপরেই নিষেধাজ্ঞার যৌক্তিকথা নিয়ে প্রশ্ন তোলে আদালত। বিচারপতি বীরেন বৈষ্ণব বলেন, ক্ষমতায় থাকা একজনের ইচ্ছাতে হঠাৎ করে এটা করা হচ্ছে? কাল আপনি এটা ঠিক করবেন, বাড়ির বাইরে আমার কী খাওয়া উচিত? অথবা আপনারা বলবেন, আমার আখের রস খাওয়া উচিত নয়, কেননা তা থেকে সুগার হতে পারে। বা কফি আমার স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর।