বিভিন্ন দপ্তরে ৪৮৬টি শূন্যপদে নিয়োগ করতে চলেছে রাজ্য সরকার
নতুন ও শূন্য মিলিয়ে মোট ৪৮৬টি পদ পূরণ করার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য মন্ত্রিসভা বৃহস্পতিবার। যার মধ্যে রয়েছে শুধু পঞ্চায়েত দপ্তরে ৪৩৭টি শূন্যপদ পূরণের প্রস্তাব। নদীয়া, মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমের গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি স্তরে বিভিন্ন ক্যাটিগরিতে ৪৩৭টি পদ পূরণ করা হবে। এর ফলে ওই তিন জেলায় পঞ্চায়েতের কাজে সুবিধা বাড়বে। নারী ও শিশুকল্যাণ দপ্তরে কন্যাশ্রী প্রকল্পের অধীনে তিনটি ডেটা ম্যানেজার পদ সৃষ্টির প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। নবগঠিত কল্যাণী, বানারহাট ও ক্রান্তি ব্লকে ওই ডেটা ম্যানেজারদের নিয়োগ করা হবে।
এছাড়া এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী এবং অর্থদপ্তরের প্রধান মুখ্য উপদেষ্টার জন্য একজন অতিরিক্ত আপ্তসহায়ক পদ সৃষ্টি করা হল। এসএসকেএম হাসপাতালের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে একজন সহযোগী অধ্যাপকের পদ। ওই হাসপাতালের এসডিএলডি জিআই প্যাথলজি বিভাগে নিয়োগ হবে তাঁকে। চারটি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে বারাসত-২ ব্লকে বাগবান্দা সাইবেরিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জন্য। স্বরাষ্ট্র দপ্তরের অধীনে ৩১টি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। যার মধ্যে ১৬টি পদ দুর্গাপুর আঞ্চলিক ফরেন্সিক ল্যাবের অধীনে। ১২টি পদ পুলিস ডিরেক্টরেটের জন্য। পাশাপাশি সবুজ সাথী প্রকল্পের জন্য সাইকেল কারখানা গড়তে এবার আগ্রহী সংস্থাগুলির কাছ থেকে দরপত্র আহ্বানের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এদিনের মন্ত্রিসভার বৈঠকে ওই প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। বৈঠক নিয়ে সরকারিভাবে কিছু না জানানো হলেও সূত্রের খবর, এ-ব্যপারে ইতিমধ্যেই বেশকিছু সংস্থা আগ্রহ দেখিয়েছে। রাজ্যে সাইকেল কারখানা তৈরির জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাবও জমা দিয়েছে তারা। জমা পড়া প্রস্তাবগুলি খতিয়ে দেখেই উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রশাসন সূত্রের খবর, প্রতি বছর সবুজ সাথী প্রকল্পে নবম ও দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য প্রায় ১০ লক্ষ সাইকেল কিনতে হয়। রাজ্যে সাইকেল কারখানা তৈরি হলে একদিকে আমদানি খরচ লাগবে না। অন্যদিকে, বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগও সৃষ্টি হবে। তাই এই উদ্যোগ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আসন্ন বড়দিন ও বর্ষবরণের উত্সবে নিজ নিজ এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার জন্যও মন্ত্রিসভার সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।