সিবিএসই পরীক্ষায় বিতর্কিত প্রশ্নপত্র, উত্তাল সব মহল
দেশের কেন্দ্রীয় বোর্ডের পরীক্ষায় বিতর্কিত প্রশ্নপত্র নিয়ে উত্তাল সবমহল। বিষয়টি এবার সংসদের অন্দরে উত্থাপন করলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। তাঁর দাবি, প্রশ্নটি তীব্রভাবে ‘মহিলা বিদ্বেষী’। সিবিএসই বোর্ডের উচিত, দেশের সব মহিলার কাছে ক্ষমা চাওয়া। সকালে এনিয়ে বোর্ডকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন রাহুল গান্ধীও। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠায় প্রশ্নটি পরে বাতিল দেয় বোর্ড। তবে তারপরও দিল্লির মহিলা কমিশন বোর্ডকে (DCW) নোটিস পাঠিয়েছে।
গত ১১ তারিখ সিবিএসই (CBSE) বোর্ডের ইংরাজি ভাষার পরীক্ষা ছিল। তাতে একটি অনুচ্ছেদ দেওয়া হয়েছিল পরীক্ষার্থীদের। যার শুরুটা বঙ্গানুবাদ করলে দাঁড়ায় – নারী ক্ষমতায়নের নামে সন্তানদের যথাযথ শিক্ষা না দিয়ে নষ্ট করা। পরিবারের পুরুষের কথা মান্যতা দিলেই সন্তানের সুশিক্ষা হয়। এই বিষয় নিয়ে একটি অনুচ্ছেদ থেকে প্রশ্ন করা হয়েছিল পরীক্ষার্থীদের। এই বিষয়টি প্রবলভাবে নারীবিদ্বেষী – এমনই অভিযোগে তোলপাড় পড়ে যায় সবমহলে।
রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) এদিন সকালে টুইট করে নিজের বক্তব্য পেশ করেন। তাঁর মতে, এই প্রশ্ন বিজেপি-আরএসএসের (BJP-RSS) নারীবিদ্বেষী মনোভাবের পরিচয় দেয়। তাঁরাই বরং যুবপ্রজন্মকে প্রকৃত মানুষ হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। কোনও ভেক নয়, সন্তানদের বড় করে তুলতে সংসারে নারীদের কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। তাই এ ধরনের বিরোধী মনোভাব প্রশ্নপত্রে তুলে ধরা নৈতিক নয়। এরপরই সংসদের অধিবেশনের জিরো আওয়ারে সোনিয়া গান্ধী বলেন, ”এই প্রশ্ন সম্পূর্ণ লিঙ্গবৈষম্যের। আমি পড়ুয়া, অভিভাবক, শিক্ষকদের হয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছি। শিক্ষাক্ষেত্রে এধরনের মনোভাবের অর্থ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া নয়, আরও দুর্বল করে তোলা।” প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও বিষয়টিকে চরম অবমাননাজনক বলে সরব হন।
তবে এত সমালোচনার মুখে পড়ে নড়েচড়ে বসে সিবিএসই। নিজেদের ভুল স্বীকার প্রশ্নটি বাতিল করে। বোর্ডের তরফে জানানো হয়, ওই প্রশ্নে উত্তর লিখলে পুরো নম্বর দেওয়া হবে পরীক্ষার্থীদের। এটাই প্রথম নয়, এর আগেও নানা বিষয়ের প্রশ্ন নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছিল বোর্ড। তারপরও প্রশ্ন করার বিষয়ে তেমন যত্নবান হয়নি বোর্ড, দশম শ্রেণির ইংরাজি প্রশ্নের বিতর্ক তারই প্রমাণ।