লোকাল ট্রেন, মেট্রোয় না রাজ্যের

May 29, 2020 | 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

করোনা-আবহে লকডাউন আর লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিককে ফেরানোর চ্যালেঞ্জের মধ্যেই হানা দিয়েছে উম্পুন। আর তাতেই সব হিসেব ওলটপালট হয়ে গিয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার সঙ্গেই করোনা সংক্রমণ রোখার দুরূহ কাজ সামলাতে হচ্ছে বাংলাকে। এই পরিস্থিতিতে লোকাল ট্রেন ও মেট্রো পরিষেবা কেন্দ্র চালু করতে চাইলে তা-ও আপাতত না-করারই পক্ষপাতী রাজ্য।

আম্পান দুর্যোগের পর বাংলাকে যে ভাবে ক্ষয়ক্ষতি সামলানোর পাশাপাশি সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং বজায় রাখার কঠিনতম চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হচ্ছে, তাতে এখনই ট্রেন-মেট্রো চালু হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে।

দেশের চতুর্থ দফার লকডাউনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৩১ মে। তার পর লকডাউনের মেয়াদ ফের বাড়বে কি না, মেয়াদ বৃদ্ধি করতে হলে তা কী কী শর্তসাপেক্ষে করা প্রয়োজন, তা নিয়ে রাজ্যগুলির মতামত জানতে এদিন মুখ্যসচিবদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্স করেন কেন্দ্রের ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা। সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও।

রাজ্যের কোন কোন এলাকায় করোনার প্রভাব বেশি, কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, তা মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে জানতে চেয়েছেন শাহ। লকডাউন প্রত্যাহার করা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের পরামর্শও চেয়েছেন তিনি।

কেন্দ্র এই তথ্যও পেশ করেছে যে, সারা দেশের মধ্যে তেরোটি শহরে করোনা সংক্রমণের প্রাদুর্ভাব সব থেকে বেশি। এই তালিকায় জোড়া শহর হিসেবে উঠে এসেছে কলকাতা-হাওড়া। বাকি শহরগুলো হল মুম্বই, চেন্নাই, আমেদাবাদ, হায়দরাবাদ, যোধপুর, পুনে, ঠানে, দিল্লি, ইন্দোর, জয়পুর, তিরুভাল্লুর এবং চেঙ্গালপাট্টু। দেশের ৭০ শতাংশ করোনা আক্রান্ত এই ১৩টি শহরেই।

বৈঠকে আম্পান পরিস্থিতিতে রাজ্যের কঠিন অবস্থার কথা তুলে ধরেন রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। এই জেরবার অবস্থার মধ্যেই ট্রেনে আসা একসঙ্গে কয়েক হাজার পরিযায়ী শ্রমিকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে বাড়ি ফেরাতে প্রবল সমস্যায় পড়ছে রাজ্য।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen