১০০ দিনের কাজে লেবার বাজেটে ১৭৪৯ কোটি টাকা ছাড়ল পঞ্চায়েত দপ্তর
১০০ দিনের কাজকে আরও জোরদার করতে ওই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকদের জন্য ১৭৪৯ কোটি টাকা ছাড়ল পঞ্চায়েত দপ্তর। এই টাকায় গ্রামীণ এলাকায় ১০০ দিনের কাজে যুক্ত শ্রমিকদের মজুরি দেওয়া হবে। বর্তমানে প্রায় ৯৭ লক্ষ ৭৬ হাজার মানুষ ১০০ দিনের কাজে যুক্ত। এই প্রকল্পে একজন শ্রমিক দৈনিক ২১৩ টাকা পান। গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের দেওয়া শ্রমদিবসের লক্ষ্যমাত্রা ২৭ কোটি ছুঁতে চলেছে রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রাজ্যের শ্রমদিবস তৈরি হয়েছে ২৬ কোটি ৮৩ লক্ষ ৩৫ হাজার। রাজ্যের আশা, আর কয়েক দিনের মধ্যেই লক্ষ্যমাত্রা ছুঁয়ে ফেলবে তারা। আরও লেবার বাজেট বা শ্রমদিবস তৈরির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন করবে বাংলা।
বর্তমান অর্থবর্ষে ১০০ দিনের কাজে ৮৯০৩ কোটি ৬৬ লক্ষ ৬৭ হাজার টাকা খরচ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান এই প্রকল্পে আরও বেশি করে মানুষকে যুক্ত করতে। গ্রামীণ পরিকাঠামো আরও উন্নত করতে। সেইসঙ্গে গ্রামীণ মানুষের হাতে নগদ টাকার জোগান বাড়াতে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই পরিকল্পনাটি নিয়েছে পঞ্চায়েত দপ্তর।
১০০ দিনের কাজে কয়েক বছর ধরেই প্রথম স্থানে রয়েছে বাংলা। শ্রমদিবস তৈরির নিরিখে টাকা খরচে অন্যসব রাজ্যকে পিছনে ফেলে দিয়েছে মমতার সরকার। লকডাউনের সময় যখন মানুষ বেকার হয়ে পড়েছিল, তখন ১০০ দিনের কাজ গ্রামের মানুষের হাতে প্রচুর টাকার জোগান দিয়েছিল। উম-পুন এবং যশ ঘূর্ণিঝড়ের সময় ১০০ দিনের কাজের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকদের ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। গত অর্থবর্ষে শ্রমদিবস তৈরি হয়েছিল ৪১ কোটি ৪১ লাখ। এবছরের জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রক বরাদ্দ করেছিল ২২ কোটি, যা সাড়ে ছ’মাসেই শেষ হয়ে যায়। শ্রমদিবসের বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য কেন্দ্রকে চিঠি লেখে রাজ্য। অবশেষে ৫ কোটি অনুমোদন করে কেন্দ্র। এখন সেটাও ছুঁতে চলেছেন বাংলার সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরা। আরও শ্রমদিবস দিতে লেবার বাজেট বৃদ্ধির জন্য ফের কেন্দ্রকে বলবে রাজ্য।
সেইসঙ্গে ১০০ দিনের কাজে নতুন দিগন্ত তৈরি করতে দফায় দফায় বৈঠক করছে পঞ্চায়েত দপ্তর। বৈঠক করেছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীও। শুধু গাছ কাটা, রাস্তা তৈরি বা পুকুরের খনন নয়, নতুন নতুন কাজ তৈরি করার পরিকল্পনা করছে পঞ্চায়েত দপ্তর, যাতে মানুষের আয় বাড়ে ও গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নত হয়।