বাংলায় ভূমিপুত্র সংরক্ষণের দাবি উঠলো
লকডাউন চলছে, নানা রাজ্যে শ্রমিকরা আটকে রয়েছে নানা প্রান্তে। পশ্চিমবঙ্গের শ্রমিকরাও আটকে রয়েছেন এখনও বিভিন্ন রাজ্যে। কিন্তু বাংলা পক্ষের দাবী ভিন রাজ্যে এই বাংলার শ্রমিকরাই সবচেয়ে বেশি সমস্যায় রয়েছে। এদের সাহায্যের দাবী জানাচ্ছেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁদের দাবী ভূমিপুত্র সংরক্ষণের।
বাংলা পক্ষের দাবী, ‘বেশিরভাগ রাজ্যে বাঙালি অনাহারে ও কষ্টে থেকেছে, কেউ এগিয়ে আসেনি। গুজরাটে পুলিস বাঙালি শ্রমিক পেটাচ্ছে। উত্তরপ্রদেশে কোনো সাহায্য পায়নি বাংলার শ্রমিকরা। পথ দুর্ঘটনায় অনেককে শেষ করে ফেলা হয়েছে। রাজ্যে রাজ্যে সমস্যায় বাংলার শ্রমিকরা।’ এর ব্যবস্থা করার আবেদন জানাচ্ছেন তাঁরা।
সংগঠনের পক্ষে জানানো হয়েছে, ‘করোনা মহামারী আটকাতে সবথেকে সামনে থেকে লড়ছে নার্সরা। অন্য রাজ্যের অনেক নার্স বাংলার নানা বেসরকারি হাসপাতালে কাজ করে। তাদের রাজ্যে এখন নার্স প্রয়োজন, সবাই গণ ইস্তফা দিয়ে নিজের রাজ্যে, নিজের সরকারের হয়ে কাজ করবে বলে ফেরত যাচ্ছে। পথে বসছে বাংলার বেসরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। এই জায়গাগুলোয় বাংলার নার্সরা থাকলে আজ এই বিপদে এমন অনভিপ্রেত সংকটে পড়তে হত না।’
তাঁদের অভিযোগ, ‘বাংলায় নানা জায়গায় চাকরি কাজ আছে। সেগুলো বাঙালি শ্রমিকরা পায় না। বাঙালিকে চাকরিতে নেওয়া হয় না। বাঙালি নিজের রাজ্যেই বঞ্চিত। অথচ অন্যান্য সব রাজ্য নিজের মানুষের স্বার্থ প্রথম দেখে। বাংলায় চাকরি আছে, বাঙালির নেই। বাংলায় টাকা আছে, বাঙালির নেই। কিন্তু এই বাংলা বাঙালির মূল ঘাঁটি। এই বাংলা ভাষার ভিত্তিতে তৈরি রাজ্য, এ রাজ্যে ৮৬% মানুষ বাঙালি।
লক ডাউন নতুন করে শিক্ষা দিচ্ছে, রঙ চেনাচ্ছে। বিপদের সময়ের সঙ্গী চেনাচ্ছে। প্রতিটা রাজ্যই নিজের মানুষের জন্য ভূমিপুত্র সংরক্ষণ করছে। বেসরকারি চাকরি- ঠিকা কাজ – টেন্ডার- লাইসেন্স – হকারি স্পটে ভূমিপুত্র সংরক্ষণ করছে, অনেক রাজ্যেই তা ইতিমধ্যেই আইনে পরিনত হয়েছে। বাংলাতেও কমপক্ষে ৯০% ভূমিপুত্র সংরক্ষণ সময়ের দাবি।’
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁরা জানাচ্ছেন , ‘আপনি কদিন আগেই বলেছেন বাংলার শ্রমিকদের বাংলাতেই কাজ দেবেন। এই ঘোষণাকে কার্যকর করার মূল পথই হল ভূমিপুত্র সংরক্ষণ। বাঙালির জন্য এই বাংলা ছাড়া কোনও জায়গা নেই। তাই এই বাংলার মাটি সহ সব কিছুর প্রথম অধিকার বাঙালি সহ সকল ভূমি সন্তানের। আপনার ঘোষণা কার্যকর করুন, আবেদন জানাই।’