পুলিশের বিক্ষোভ, সাসপেন্ড পাঁচ
কলকাতা পুলিশের চতুর্থ ব্যাটেলিয়নে বিক্ষোভের ঘটনায় সাসপেন্ড করা হল পাঁচ পুলিশকর্মীকে। পাশাপাশি বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে মামলাও রুজু করা হয়েছে। বিধাননগর উত্তর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় কলকাতা পুলিশের তরফে। তার ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রুজু করা হয়। বদলি করা হয়েছে সল্টলেকে ওই ব্যাটেলিয়নের দায়িত্বে থাকা এক অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারকেও।
দুই পুলিশকর্মী করোনা পজিটিভ হওয়ার পরই শুক্রবার সন্ধ্যার পর প্রতিবাদে সামিল হন চতুর্থ ব্যাটেলিয়নের কয়েকশো পুলিশকর্মী। এক অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারের বদলি চেয়ে মধ্যরাত পর্যন্ত বিক্ষোভ চালিয়ে যান তাঁরা। শুধু বিক্ষোভই নয়, যুগ্ম কমিশনার (সশস্ত্র পুলিশ) অখিলেশ চতুর্বেদী ঘটনাস্থলে গেলে তাঁকে লক্ষ্য করে ভিতর থেকে ইটও ছোড়া হয়। তিনি বিক্ষোভকারীদের শান্ত হওয়ার নির্দেশ দেন, তাতেও কাজ হয়নি। ভাঙচুরও চালান ক্ষুব্ধ ওই পুলিশকর্মীরা।
প্রথমে পিটিএস, তারপর গরফা, সেখান থেকে চতুর্থ ব্যাটেলিয়নের এই ঘটনা স্বভাবতই ভালো ভাবে নেয়নি প্রশাসন। পিটিএসের ঘটনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিককে হেনস্থা করা হয়েছিল। তাঁর গাড়িতে ভাঙচুরও চালানো হয়। এখানেই শেষ নয়, তাঁকে বেশ কিছুটা তাড়া করেও নিয়ে যান বিক্ষোভকারীরা। এই ঘটনার পরের দিন পুলিশকর্মীদের সঙ্গে গিয়ে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পিটিএস বা গরফার ঘটনার কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলেও শুক্রবার রাতের ঘটনায় কড়া অবস্থান নেয় পুলিশ। শনিবার সেখানে যান পুলিশের শীর্ষকর্তারা। সেখানে পুলিশ কর্মীদের অভাব-অভিযোগও শোনেন তাঁরা। জানানো হয়, এই রকমের ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না।
এর পরই চতুর্থ ব্যাটেলিয়নের এক এএসআই ও চার কনস্টেবলকে চিহ্নিত করে সাসপেন্ড করা হয়। তাঁরা বিক্ষোভের মূলে ছিলেন, এমনটাই খবর। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। যে অ্যাসিন্ট্যান্ট কমিশনারে বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানান পুলিশকর্মীরা, তাঁকেও বদলি করা হয়েছে।