অল্প খরচে ওমিক্রন পরীক্ষা করতে উদ্যোগী রাজ্য সরকার
করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই ওমিক্রনের আতঙ্কে কাবু গোটা দেশ। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনার নয়া অবতার ওমিক্রন অন্যান্য স্ট্রেনের চেয়েও বেশি সংক্রামক। ইতিমধ্যেই রাজ্যে থাবা বসিয়েছে ওমিক্রন। এই অবস্থায় ওমিক্রন রাজ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। বর্তমানে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে কেউ ওমিক্রনে সংক্রমিত হয়েছেন কিনা তা পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে এই পরীক্ষা অনেক সময় খরচ সাপেক্ষ এবং ব্যয়বহুল হওয়ার কারণে নতুন এক পরীক্ষা চালু করতে চলেছে রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই নতুন পরীক্ষার নাম ‘এস জিন টার্গেট ফেলিওর টেস্ট’। যার মাধ্যমে অতি কম সময়ে এবং অল্প ব্যয়ে জানা যাবে কোনও ব্যক্তির শরীরে ওমিক্রন দ্বারা সংক্রমিত হয়েছে কিনা। সারা রাজ্যে দ্রুত এই পরীক্ষা চালু করতে চলেছে স্বাস্থ্য দপ্তর। প্রথমে কলকাতায় এই পরীক্ষা চালু করা হবে। তারপর রাজ্যের অন্যান্য জেলাগুলিতে এই পদ্ধতিতে ওমিক্রন পরীক্ষা করা হবে বলে স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।
রাত পোহালেই বড়দিনের উৎসব আর তার কয়েক দিন পরেই বর্ষবরণ। এই দু’টি উৎসবকে কেন্দ্র করে রাজ্যে ওমিক্রনের সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। রাজ্যের এক শীর্ষ স্বাস্থ্য কর্তার কথায়, ‘ওমিক্রনের কথা মাথায় রেখেই উৎসবগুলোতে সাধারণ মানুষকে করোনা বিধি মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। জমায়াতের ক্ষেত্রে করোনার দু’টি ডোজ অবশ্যই থাকতে হবে।’ এছাড়া মাস্ক ছাড়া কোনওভাবে জমায়েত করা যাবে না বলে তিনি জানিয়েছেন। তিনি জানান, ‘জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের ক্ষেত্রে খরচ এবং সময় দুটোই বেশি লাগে। সেক্ষেত্রে নতুন পরীক্ষায় রাজ্য সরকারের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও উপকৃত হবেন।’
ইতিমধ্যেই, করোনা সংক্রমণ নিয়ে রাজ্যগুলিকে সতর্ক করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে কলকাতায় করোনা সংক্রমণের রেট বাড়ায় সর্তকতা জারি করা হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রক পরামর্শ দিয়েছে, সিটি ভ্যালু ৩০ বা তার কম হলে রোগীর জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য নমুনা পাঠাতে হবে।