চাপ শুধু বউ ও গার্লফ্রেন্ড দেন, সৌরভের মন্তব্যে বিতর্ক তুঙ্গে
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বনাম বিরাট কোহলি। আপাতত গোটা ক্রিকেট বিশ্বে এটাই হট টপিক। একদিনের ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব বিতর্কের পর সৌরভ এবং বিরাট সবসময়ই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন। সম্প্রতি গুরগাঁওয়ে একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন সৌরভ। সেখানে গিয়ে মহারাজ এমন একটি মন্তব্য করে বসেন, যা নিয়ে আপাতত বিতর্কের ঝড় উঠতে শুরু করেছে। ওই অনুষ্ঠানে সৌরভ কার্যত জানিয়ে দেন, বিরাট কোহলি বিতর্ক সামলানোর থেকে অনেক বেশি কঠিন হল স্ত্রী এবং গার্লফ্রেন্ডকে সামলানো।
দাদাকে প্রশ্ন করা হয় যে জীবনের এত কঠিন চাপ কীভাবে সামলান তিনি? জবাবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, ‘জীবনে কোনও কিছুই চাপ নয়। স্ট্রেস তো শুধুমাত্র বউ আর গার্লফ্রেন্ডই দেয়।’
এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, দীর্ঘদিন প্রেমপর্ব চলার পর ১৯৯৭ সালে ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়কে বিয়ে করেছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রথমে দুই পরিবারের কেউই এই বিয়েতে রাজি ছিলেন না। অবশেষে সৌরভ ডোনাকে নিয়ে পালিয়ে যান এবং তারপর রেজিস্ট্রি সেরে নেন। পরবর্তীকালে সৌরভ নিজেই একথা স্বীকার করেন।
তবে নেট নাগরিকদের একাংশ সৌরভের এহেন মন্তব্যকে কিন্তু ভালোভাবে গ্রহণ করেননি। অনেকে তো সৌরভের এই মন্তব্যকে লিঙ্গবৈষম্য়মূলক বলে আখ্যাও দেন।
গুরগাঁওয়ে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সৌরভ আরও যোগ করেন, ‘বিরাট কোহলির মধ্যে যে অ্যাটিটিউড হয়েছে, সেটা আমার খুব ভালো লাগে। কিন্তু, ও খুব ঝগড়া করে।’ আসলে দাদাকে এই প্রশ্ন করা হয়েছিল যে কোন ক্রিকেটারের অ্যাটিটিউড তাঁর সবথেকে বেশি ভালো লাগে? এই প্রসঙ্গে সৌরভ জবাব দেন, ‘বিরাট কোহলির অ্যাটিটিউড আমার সবথেকে ভালো লাগে। কিন্তু, ও খুব ঝগড়া করে।’
ঠিক কী কারণে কোহলি-সৌরভ দ্বৈরথ
একদিনের ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব নিয়ে গোটা দেশের ক্রিকেটমহলে নেহাতই কম জলঘোলা হয়নি। বিরাট কোহলি দক্ষিণ আফ্রিকা উড়ে যাওয়ার আগে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দেন, টি-২০ ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব ছাড়তে তাঁকে কেউ মানা করেননি। বরং একথাই বলা হয়েছিল যে ভারতীয় ক্রিকেটের উন্নতির স্বার্থে বিরাট কোহলি এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন। অন্যদিকে সৌরভ অবশ্য এই মন্তব্যের আগেই একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ঘোষণা করে দিয়েছিলেন, তিনি নিজে বিরাটকে টি-২০ ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব না ছাড়ার ব্যাপারে অনুরোধ করেন। এই মতান্তরের কারণে বিতর্কের আগুন কার্যত দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে।