ওমিক্রন আতঙ্কে পিছিয়ে যাবে উত্তরপ্রদেশ নির্বাচন? স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সঙ্গে বৈঠক করবে কমিশন
এর আগে এলাহাবাদ হাইকোর্টের তরফে উত্তরপ্রদেশ ভোট পিছিয়ে দেওয়ার জন্য আর্জি জানানো হয়েছিল নির্বাচন কমিশন ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে। করোনার জেরে এই আবেদনের পরই উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন নিয়ে দেখা দেয় একটা অনিশ্চয়তা। দেশে লাফিয়ে বাড়ছে ওমিক্রন। আর তার মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তার আগে জোর প্রচারে নামবেসব রাজনৈতিক দল। ২০২১ সালে দেখা যায়, নির্বাচন কমিশনের শত বিধিনিষেধ সত্ত্বোও করোনাবিধি অমান্য করেই চলে ভোট প্রচার। খোদ প্রধানমন্ত্রীর জনসভাগুলিতেও করোনা বিধি মানার কোনও বাধ্য বাধকতা ছিল না। আর এর পরেই দেশএ মৃত্যুমিছিল দেখা যায়। আর সেই সময় উত্তরপ্রদেশের পরিস্থিতি খুবই খারাপ ছিল। এই আবহে জনবহুল এই রাজ্যের নির্বাচন নিয়ে মাথা ব্যথা শুরু হয়েছে কমিশনেরও। তাই পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নিয়ে সোমবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে নির্বাচন কমিশন।
ওমিক্রন ত্রাসে রাত্রিকালীন কার্ফু জারি আছে উত্তরপ্রদেশে। তবে দিনের বেলা রাজনৈতিক জনসভাগুলিতে উপচে পড়ছে মানুষের ভিড়। এদিকে করোনার নয়া স্ট্রেন ওমিক্রনকে ডেল্টার থেকেও বেশি সংক্রাম্ক হিসেবে চিহ্নিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এই আবহে রাজ্যের কোভিড বিধি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল এলাহাবাদ হাই কোর্ট। এই আবহে সোমবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তাছাড়া উত্তরপ্রদেশ সহ ভোটমুখী পাঁছ রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিবদের সঙ্গেও কথা বলবেন কমিশনের আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি বা মার্চ মাসে উত্তরপ্রদেশ সহ দেশের পাঁছ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এই আবহে ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের আগে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে নিশ্চিত হয়ে নিতে চায় কমিশন। ওমিক্রন সংক্রমণের ক্ষেত্রে কোন রাজ্যে কী পরিস্থিতি, তা খতিয়ে সংশ্লিষ্ট রাজ্যে যাওয়ার কথা কমিশনের আধিকারিকদের। মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশে যাবেন তাঁরা। প্রতিনিধি দলে থাকবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র স্বয়ং। পরিস্থিতিতে খতিয়ে দেখার আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের এই বৈঠক বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।