বড়দিনে উত্তরবঙ্গে তুষারপাত, আপ্লুত পর্যটকরা

তুষারপাত হল উত্তরবঙ্গের পাহাড়ে

December 26, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

তুষারপাত হল উত্তরবঙ্গের পাহাড়ে। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুসারে নির্ধারিত সময়ের আগেই শনিবার দার্জিলিং ও কালিম্পং পাহাড়ের কিছু এলাকায় তুষারপাত হয়েছে। বড়দিনে এনিয়ে উচ্ছ্বসিত পর্যটকরা। তাঁদের অনেকেই সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করেছেন। ফের নতুন বছরের মুখে পাহাড়ে তুষারপাত ও বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তখন ঠান্ডার দাপটও কিছুটা বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। 


পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে উত্তরঙ্গের পাহাড়ি অঞ্চলে তুষারপাতের পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া দপ্তর। তাদের পূর্বাভাস অনুসারে বড়দিনের পর পাহাড়ে তুষারপাত হওয়ার কথা। কিন্তু, শুক্রবার রাত থেকেই পাহাড়ের উঁচু এলাকাগুলিতে তুষারপাত শুরু হয়। এদিন দার্জিলিং পাহাড়ের টাইগার হিল, চাটকপুর, সান্দাকফু, টংলু, টুংলিং, গোয়েকা সংমা এবং কালিম্পংয়ের রিশপ এলাকায় তুষারপাত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলির রাস্তা, গাছের ডাল এবং বাড়ি ও হোটেলের ছাদ শ্বেতশুভ্র বরফে ঢেকে গিয়েছে। 


এমন দৃশ্য দেখে আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠেছেন পর্যটকরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বড়দিনের ছুটি কাটাতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত এবং দেশের অন্যান্য রাজ্য থেকে কয়েকদিন আগেই পর্যটনকরা পাহাড়ে এসেছেন। পাহাড়ে দর্শনীয় স্থানীগুলির মধ্যে ম্যাল অন্যতম। বড়দিন উপলক্ষে সেখানেই জড় হন পর্যটকরা। তুষারপাতের খবর চাউর হতেই সেখান থেকে পর্যটকদের একাংশ সান্দাকফু ও টাইগার হিলে পৌঁছন। তাঁদের কেউ তুষারে ঢাকা পাহাড়ের সামনে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ার আপলোড করেন। আবার কেউ কেউ বরফ ঢাকা রাস্তায় হুটোপুটি খান। পর্যটকদের একাংশ বলেন, কোভিড মহামারীর জেরে পর পর দু’টি বছর পাহাড়ে আসতে পারিনি। তাই এবার পাহাড়ে এসেছি। তুষারপাত মেলায় দিনটা অন্যরকম ভাবে কাটছে। এদিন সকালে শিলিগুড়ি থেকেও অনেকে রওনা হন পাহাড় অভিমুখে। এর জেরে পাহাড়ে গাড়ি পেতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন পর্যটকদের একাংশ। তাঁরা বলেন, বড়দিন উপলক্ষে পাহাড়ে ব্যাপক ভিড় হয়েছে। তাই মানোভঞ্জন থেকে গাড়ি পেতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।

প্রশাসনের আধিকারিকরা জানান, বড়দিন উপলক্ষে কয়েকদিন আগেই আলোর মালায়, স্টার ও ক্রিসমাস ট্রিতে সাজিয়ে তোলা হয় পাহাড়। এই অবস্থায় তুষারপাত বড়দিনের উৎসবে অন্যমাত্রা যোগ করেছে। তবে পর্যটকদের যাতে সমস্যা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।তুষারপাতের জেরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার কিছুটা হেরফের হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবারের তুলনায় দার্জিলিং পাহাড়ের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সামান্য কমে দাঁড়িয়েছে ৩.৪ডিগ্রি সেলসিয়াস। কালিম্পংয়ের অবস্থাও একই। এখানকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে পাহাড়ে ঠান্ডা কিছুটা বেড়েছে। তবে, শিলিগুড়িতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শুক্রবারের তুলনায় শনিবার ১ ডিগ্রি বেড়েছে। এদিন এখানকার তাপমাত্রা ছিল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই ভাবে উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলাতেও ঠান্ডা রয়েছে। সিকিম কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে এমন আবহাওয়া তৈরি হয়েছে। এখন কিছু এলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে। আবার আগামী ২৮ ও ২৯ ডিসেম্বর আর একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা আসবে। এতে পাহাড়ে তুষারপাত এবং সমতলের কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ঠান্ডা কিছুটা বাড়তে পারে। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen