কোন্দলের জেরে বিজেপি নেতা-নেত্রীকে মারধর দলের বিধায়কের সামনেই, প্রতিবাদে রাস্তায় কর্মীরা

বিধানসভা ভোটের পর থেকে প্রায় সব ভোটেই পর্যুদস্ত বিজেপিতে

December 28, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

বিধানসভা ভোটের পর থেকে প্রায় সব ভোটেই পর্যুদস্ত বিজেপিতে (BJP) দলীয় কোন্দল তুঙ্গে উঠেছে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গাতেই চরম দ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দিয়েছে। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের ঘটনায় আরও হতাশা বাড়ছে দলে। যার ফলে দলীয় সমর্থকদের মধ্যে মারামারির মতো ঘটনাও এড়াতে পারছে না গেরুয়া শিবির। সম্প্রতি যেমনটা ঘটেছে বনগাঁয় (Bongaon BJP)।

উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁর কালুপুরে কর্মিসভায় বিজেপি বিধায়কের উপস্থিতিতে দলের বনগাঁ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অর্ণব শূর ও এক পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেত্রী লতিকা শূরকে মারধরের অভিযোগে রবিবার রাতে গাইঘাটার চাঁদপাড়া পশ্চিম মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদকসহ ৩ বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করেছিল বনগাঁ থানার পুলিস। বাকি অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে মঙ্গলবার দুপুরে বনগাঁ থানার কালুপুর বাজারে অবরোধ করে বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। পোস্টার হাতে যশোর রোডের উপর প্রায় আধঘণ্টা অবরোধ করে থাকেন তাঁরা৷ বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদারের বিরুদ্ধে ধিক্কার জানাতে থাকেন তাঁরা।

তাঁদের দাবি, এলাকার পুরনো কর্মীদের কোনও কাজেই ডাকছেন না বিধায়ক। বিধায়কের উপস্থিতিতে আমাদের মহিলা সদস্যকে মারধর করা হয়েছে। তাই বিধায়ককে ধিক্কার জানাচ্ছি। এই ঘটনায় আরও যারা যুক্ত রয়েছে, তাদের গ্রেফতার করতে হবে। সেই দাবিতেই অবরোধ।

অর্ণব শূর বিজেপির বনগাঁ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য এবং তাঁর স্ত্রী লতিকা শূর কালুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেত্রী। রবিবার সন্ধ্যায় বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভার কালুপুরে বিজেপির কর্মী সম্মেলন ছিল। সেখানে বিধায়ক স্বপন মজুমদার উপস্থিত ছিলেন। কর্মী সম্মেলনে অর্ণব ও লতিকাকে ডাকা হয়নি। অর্ণব জানিয়েছিলেন, স্থানীয় কয়েকজন বিজেপি কর্মী সেখানে তাঁদের যেতে অনুরোধ করে। সেখানে গেলে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। সিঁড়ি থেকে ফেলে দেওয়া হয়৷ ঠেকাতে গেলে লতিকাদেবীকে বেধড়ক মারধর করে সিঁড়ি থেকে ফেলে দেওয়া হয়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen