মুম্বইয়ের কাছে আছড়ে পড়বে প্রবল ঘূর্ণিঝড় নিসর্গ
আগামী ৩৬ ঘণ্টায় আরও শক্তি বাড়াবে ‘নিসর্গ’। তারপর বুধবার সন্ধ্যা-রাত নাগাদ তা উত্তর মহারাষ্ট্র এবং দক্ষিণ গুজরাত উপকূলের মধ্য দিয়ে স্থলভূমিতে আছড়ে পড়বে। এমনটাই পূর্বাভাস দিল ভারতীয় মৌসম ভবন।
আজ, সোমবার সকালে মৌসম ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, পূর্ব-মধ্য ও সংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগরের উপর ইতিমধ্যে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে ‘নিসর্গ’। সোমবার ভোর সাড়ে পাঁচটার সময় সেটি পানজিমের দক্ষিণ-পশ্চিমে ৩৭০ কিলোমিটার, মুম্বইয়ের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে ৬৯০ কিলোমিটার এবং সুরাতের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে ৯২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। আগামী ১২ ঘণ্টায় পূর্ব-মধ্য ও সংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগরের উপর সেটি অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় তা পূর্ব-মধ্য আরব সাগরের উপর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। প্রাথমিকভাবে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত সেটি উত্তরদিকে যাবে। পরে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে বাঁক খেয়ে আগামী বুধবার সন্ধ্যা-রাত নাগাদ উত্তর মহারাষ্ট্র এবং দক্ষিণ গুজরাত উপকূলের হরিহরেশ্বর (মহারাষ্ট্রের রায়গড় জেলায়) এবং দমনের মধ্য দিয়ে স্থলভূমিতে প্রবেশ করবে।
আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, স্থলভূমিতে প্রবেশের সময় ‘নিসর্গ’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। মহারাষ্ট্র উপকূলে ঘণ্টায় ঝড়ের গতিবেগ ১০৫ থেকে ১১৫ কিলোমিটারের মধ্যে ঘোরাফেরা করবে। কখনও কখনও তা বেড়ে ঘণ্টায় ১২৫ কিলোমিটারে পৌঁছে যাবে। একইসঙ্গে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কঙ্কন, গোয়া, মহারাষ্ট্র এবং গুজরাতের একাংশে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। গুজরাত উপকূলের ঝড়ের বেগ কিছুটা কমার সম্ভাবনা থাকলেও সেখানে ঘণ্টায় ৮০-৯০ বেগে হাওয়া বইবে। কখনও কখনও তা সেঞ্চুরিও ছুঁয়ে ফেলবে।
‘নির্সগ’-এর জেরে ইতিমধ্যে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগর, লাক্ষাদ্বীপ এবং কেরালা উপকূল দিয়ে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সমুদ্র উত্তাল হওয়ার সম্ভাবনায় মহারাষ্ট্র উপকূল, গুজরাত উপকূলেও মৎস্যজীবীদের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে।