পদ্ম ছেড়ে ঘাসফুলে যোগদানের হিড়িক, পুরভোটের আগে ব্যাকফুটে বিজেপি
বিধানসভা নির্বাচনে গেরুয়া হাওয়া থাকলেও পুরভোটে গঙ্গারামপুরে খাতা খোলাই চ্যালেঞ্জ বিজেপির। এমনটাই মনে করছে স্থানীয় রাজনৈতিক মহল। গঙ্গারামপুর শহরে পুরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃণমূল শিবিরে শুরু হয়েছে বুথ ভিত্তিক দলীয় কর্মসূচি। বিধানসভা নির্বাচনের পর হাওয়া বদলেছে গঙ্গারামপুর শহরে। বিরোধী শিবিরের কর্মীরা দলে দলে নাম লিখিয়েছেন তৃণমূলে। পুরসভা নির্বাচন দোরগোড়ায় চলে এলেও বিধানসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরে সংগঠনের ভিত নড়ে যাওয়ায় বিজেপির বুথ ভিত্তিক কোনও কর্মসূচি দেখা যাচ্ছে না। গঙ্গারামপুর শহরের বুকে বিজেপি নেতৃত্বের তেমন মুখ না থাকায় শহরের ১৮টি ওয়ার্ডে কীভাবে লড়াই হবে, তা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় বিজেপির একাংশ নেতৃত্ব।
বিগত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে গঙ্গারামপুর শহরে গেরুয়া শিবির এগিয়ে থাকলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে হাওয়া। শহরের উন্নয়নের স্বার্থে যে শাসকদল তৃণমূলের পক্ষেই থাকবেন শহরবাসী, এমনটাই মনে করছে জেলার রাজনৈতিক মহল। রাজ্য বিজেপির সভাপতির জেলা বনাম রাজ্যের মন্ত্রী তথা জেলার বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতার খাসতালুকে পুরসভা দখলের লড়াই এবার অনেকটাই কঠিন গেরুয়া শিবিরের কাছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে গঙ্গারামপুর পুরসভা নির্বাচনে বিরোধী শূন্য বোর্ড গঠন করে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার গঙ্গারামপুর পুরসভা নির্বাচনে বিজেপির কাছে খাতা খোলাই চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছে জেলার রাজনৈতিক মহল।
রাজ্যের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র বলেন,পুরসভা নির্বাচনে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার শুধু গঙ্গারামপুর নয়, দু’টি পুরসভাতেই আমাদের দলের সংগঠন যথেষ্ট মজবুত। এখন থেকেই আমাদের দলের কর্মীরা বুথে নেমে ঘর গোছানোর কাজ শুরু করে দিয়েছেন। বিধানসভা নির্বাচনের পর গঙ্গারামপুর শহরের বুকে বিরোধী দল থেকে দলে দলে নিচুতলার কর্মীরা যাঁরা ভোট করান, তাঁরা তৃণমূলে নাম লিখিয়েছেন। বিধানসভা নির্বাচনের পর জেলায় বিজেপির নেতৃত্ব দেবেন, তেমন কোনও নেতা নেই। পুরসভার ১৮টি ওয়ার্ডে প্রার্থীই দিতে পারবে না গেরুয়া শিবির। তাদের জমানত জব্দ হবে। এর আগেও আমার নেতৃত্বে দল গঙ্গারামপুর পুরসভা বিরোধী শূন্য হয়েছে। এবারও আমরা দেখিয়ে দেব। শহরবাসী উন্নয়নের স্বার্থেই শাসকদল তৃণমূলের পক্ষেই থাকবেন। বিগত দিনে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে ফল খারাপ হলেও দল ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বিগত দিনের হিসেব করে কোনও লাভ হবে না। জেলা বিজেপি সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, আমাদের কিছু কর্মী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন। কিন্তু তাঁরা তৃণমূলে গিয়েও বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ করে আবার দলে ফিরেছেন। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের যোগদান না করলেও কর্মীরা আমাদের সঙ্গেই রয়েছেন। কারণ, কোনও সুস্থ মানুষ তৃণমূল করবেন না। গঙ্গারামপুর পুরসভায় আমরাই বোর্ড গঠন করব। কারণ, বর্তমানে তৃণমূলে এত গোষ্ঠী যে, ওরা নিজেদের মধ্যেই লড়াই করবে। আর জনগণ ভোট দেবে আমাদের। আমরা এখনও বুথে নামতে পারিনি তবে জানুয়ারি মাস পড়লেই আমরা বুথে নেমে কাজ করব। আমাদের ঘর গোছানোর কাজ শেষ। এবার জোর লড়াই হবে। মানুষ লোকসভা ও বিধানসভা ভোট থেকে আমাদের পাশে রয়েছেন। ২০১৫ সালে আমরা লড়াই দিয়েছি। সাধারণ মানুষকে নিয়ে আমরা মাঠে রয়েছি। খাতাও খুলব। বোর্ডও গঠন করব।