পানীয় জলের সংযোগে দেশের সেরা বাংলা, পিছিয়ে ডবল ইঞ্জিন গুজরাত, ইউপি
বাড়ি বাড়ি পানীয় জল সংযোগে গোটা দেশে উল্লেখযোগ্য অবস্থান বাংলার—সরকারি বিভিন্ন কর্মসূচি আর প্রশাসনিক বৈঠকে রাজ্যের সেই সাফল্যের বৃত্তান্ত বারবার বলছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চলতি আর্থিক বছরের (২০২১-২২) প্রথম নয় মাসে (এপ্রিল-ডিসেম্বর) বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ স্থাপনে দেশের মধ্যে শীর্ষস্থানে পৌঁছে, হাতে কলমে তার প্রমাণ দিল জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর (পিএইচই)। কেন্দ্র সরকারের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই সময়ে ১৫ লক্ষ ৭২ হাজারের বেশি বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ স্থাপন করে শীর্ষ পৌঁছেছে বাংলা। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বিজেপি শাসিত কর্ণাটক, তৃতীয় স্থানে বিজেপি জোটের বিহার। কেন্দ্রীয় সরকারের রিপোর্ট অনুযায়ী, সদ্য গত হওয়া ডিসেম্বর মাসেও বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের সংযোগ স্থাপনে দেশের সেরা রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ। অনেক পিছনে ভক্তকুলের স্বপ্নরাজ্য উত্তরপ্রদেশ (নবম স্থান) ও গুজরাত (১৪তম স্থান)। মাত্র ৩১ দিনে রাজ্যের ২ লক্ষ ৬৯ হাজার ৮৫৪টি বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ দিয়েছে পিএইচই দপ্তর। তাঁর সাধের ‘জলস্বপ্ন’ প্রকল্পে পিএইচই’র ধারাবাহিক সাফল্যে সন্তুষ্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিনন্দন জানিয়েছেন দপ্তরের মন্ত্রী পুলক রায় সহ সমস্ত ইঞ্জিনিয়ার ও আধিকারিকদের।
কেন্দ্র সরকারের রিপোর্ট অনুযায়ী, জলস্বপ্ন প্রকল্প চালু হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ৩০ লক্ষ ৪১ হাজার ৫১৩টি বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ স্থাপন করেছে পিএইচই দপ্তর। যার অর্ধেকের বেশি হয়েছে চলতি আর্থিক বছরের প্রথম নয় মাসে। নবান্ন সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশিত পথে এই প্রকল্প সঠিকভাবে রূপায়নের জন্য মন্ত্রী পুলক রায়ের নেতৃত্বে পিএইচই’র পুরো টিম। নানা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে রাজ্যের দুর্গম এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য। এমনকী শুখা এলাকাতেও ভূগর্ভস্থ জল উত্তোলন করে ওভারহেড ট্যাঙ্কে মজুত করে পাইপ লাইনের মাধ্যমে তা বাড়িতে সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, শুধুমাত্র পানীয় জলের সংযোগ স্থাপন করেই ক্ষান্ত থাকছে না পিএইচই। সরবরাহ করা পানীয় জল পরিস্রুত কি না, তা দেখার জন্য বাড়ি বাড়ি সমীক্ষাও চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পিএইচই মন্ত্রী পুলক রায়ের কথায়, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সমীক্ষার ওই কাজে নিযুক্ত করা হচ্ছে আশা কর্মীদের। এতে পানীয় জলের হালহকিত সম্পর্কে যেমন জানা যাবে, তেমনই আশা কর্মীদের কিছু বাড়তি রোজগারের ব্যবস্থাও করা যাবে।