নববর্ষে গালওয়ান উপত্যাকায় উড়লো চিনের পতাকা, নিরুত্তাপ মোদী সরকার
২০১৪-এর পর থেকে বিজেপির শাসনকালে ভারতের সীমান্তে বারবার হানা দিয়েছে চিন। ভারতের সঙ্গে বারবার সংঘর্ষেও জড়িয়েছে তারা। বিপুল সংখ্যক ভারতীয় সৈনিক শহীদ হয়েছেন। ভারতীয় সীমান্তের উপকণ্ঠে ফের একবার চিনি হাঙ্গামা শুরু। ২০২২-এর প্রথম দিনেই মাথাচাড়া দিল চিনের উৎপাত।
চিনের একটি সংবাদমাধ্যমের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও পোস্ট হয়েছে। ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, গালওয়ান উপত্যকায় চিনের জাতীয় পতাকা উড়ছে। কিন্তু দুই দেশের ডিমিলিটারাইজড জোনের সীমা লঙ্ঘন করা হয়নি। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের জুনে ভারত ও চিনের মধ্যে এই ডিমিলিটারাইজড জোনে সংঘর্ষ হয়েছিল।
ওই ভিডিও টুইট করে লেখা হয়েছে, “২০২২-এর নিউ ইয়ার্স ডে-তে গালওয়ান উপত্যকায় চিনের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে।”
টুইটে দাবি করা হয়েছে, “এই পতাকাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ একদা এই পতাকাটিই বেজিং-এর তিয়ানানমেন স্কোয়ারে উত্তোলন করা হয়েছিল।”
গত বছর জুলাইয়ের পরে চিন এবং ভারত যৌথভাবেই গালওয়ান সংঘর্ষের স্থান থেকে দুই কিলোমিটার করে পিছু হাঁটার সিদ্ধান্ত নেয়। ওই সংঘর্ষের ফলে কুড়ি জন ভারতীয় সৈনিক শহীদ হয়েছিলেন। চিনের তরফে দাবি করা হয়, তাদের চার জন সৈন্য এই যুদ্ধে মারা গিয়েছেন। যদিও ভারতীয় সেনাবাহিনী দাবি করে, চিনের আরও বেশি সংখ্যক সৈন্য এই সংঘর্ষে নিহত হয়েছিল।
ভারত-চিন সংঘর্ষের পরে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এবং চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-এর সঙ্গে একটি বৈঠক হয়, তারপরেই ডিসএনগেজমেন্ট প্রক্রিয়া শুরু। দুই দেশই সংঘর্ষস্থল থেকে উভয় দিকে দুই কিলোমিটার করে সরে আসে। পতাকা ওড়ার ভিডিওটি ওই ডিসএনগেজমেন্ট জায়গার মধ্যে পড়ছে না।
কিন্তু গালওয়ান উপত্যকায় চিনের জাতীয় পতাকা উত্তোলন ভারতের সামরিক ব্যর্থতাকে ফের একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। গালওয়ান উপত্যকায় চিনের এহেন আগ্রাসন ভারতের নিরাপত্তাকে এক প্রশ্ন চিহ্নের সামনে এনে দাঁড় করালো!