করোনার থাবা লালবাজারে, নিজস্ব প্যাথলজি সেন্টার-ওষুধের দোকান তৈরি করছে কলকাতা পুলিশ

চালু হয়েছে কলকাতার পুলিশের কর্মী ও আধিকারিকদের জন্য ওষুধের দোকানও। এছাড়া শহরের থানা ও ট্রাফিক গার্ডগুলিতে বাঁচাতে শুরু হল ঘনঘন স্যানিটাইজেশন

January 4, 2022 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

আছড়ে পড়েছে করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) তৃতীয় ঢেউ। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে কলকাতার পুলিশ মহলে। বহু আধিকারিকের শরীরে থাবা বসিয়েছে মারণ ভাইরাস। ফলে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছে লালবাজার (Lalbazar)। সূত্রের খবর, পুলিশের চিকিৎসার সুবিধার জন্য নিজস্ব প্যাথলজি সেন্টার তৈরি হয়েছে। চালু হয়েছে কলকাতার পুলিশের কর্মী ও আধিকারিকদের জন্য ওষুধের দোকানও। এছাড়া শহরের থানা ও ট্রাফিক গার্ডগুলিতে বাঁচাতে শুরু হল ঘনঘন স্যানিটাইজেশন।

লালবাজারের সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) আধিকারিক ও কর্মীদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। সোমবার ২২ জন পুলিশকর্মী ও আধিকারিক নতুন করে কোভিডে (COVID-19) আক্রান্ত হয়েছেন। করোনায় তৃতীয় ঢেউয়ে এখনও পর্যন্ত সংক্রমণ রয়েছে কলকাতা পুলিশের ৮৩ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন দু’জন। কলকাতা পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক ডিসি পদে দায়িত্ব নেওয়ার আগেই করোনা সংক্রমিত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সবমিলিয়ে, করোনা কাঁটায় রীতিমত নাস্তানাবুদ লালবাজার।

এদিকে, মহামারীর কবলে পড়ে যাতে পুলিশকর্মীদের বাইরে থেকে ওষুধ না কিনতে হয়, তার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকেই নিজস্ব দু’টি নতুন ওষুধের দোকান চালু করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশ ওয়েলফেয়ার বোর্ডের পক্ষ থেকে সল্টলেকের (Salt Lake) চতুর্থ ব্যাটেলিয়নের আবাসন ও বি টি রোডে পুলিশ লাইনে দোকান দু’টি তৈরি করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশের কর্মী-আধিকারিকরা ছাড়াও সিভিক ভলান্টিয়ার্স, হোমগার্ড, প্রশাসনিক কর্মী, চুক্তিতে নিয়োগ করা হয়েছে – এমন কর্মীরাও ওষুধ কিনতে পারবেন। কলকাতা ও রাজ্য পুলিশের কো-অর্ডিনেটর শান্তনু সিনহা বিশ্বাস জানান, এই দোকান দু’টি থেকে ২৪ শতাংশ ছাড়ে ওষুধ কেনা যাবে।

এছাড়া আলিপুর বডিগার্ড লাইনে পুলিশের জন্য নিজস্ব প্যাথলজি সেন্টার তৈরি করেছে কলকাতা পুলিশ ওয়ালফেয়ার বোর্ড। এখানেও অনেক কম মূল্যে প্যাথলজি পরীক্ষা করানো যাবে। সংক্রমণ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কলকাতা পুলিশ আরও সতর্ক হয়েছে। প্রত্যেকটি থানা ও ট্রাফিক গার্ডের বাইরে ও ভিতরের অংশ দিনে একাধিকবার স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। কলকাতা পুলিশের যে কর্মী ও আধিকারিকরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে একটি অংশ ডিউটি করেছেন পার্ক স্ট্রিট ও শেক্সপিয়র সরণি এলাকায়। তাই পুলিশকর্মীদের লালবাজারের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ভিড় এড়িয়ে কাজ করার পাশাপাশি নিজেদের মধ্যেও যথাসম্ভব পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। মাস্ক ও স্যানিটাইজারের সঙ্গে অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে গ্লাভস।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen