মাত্র দেড় মাসে করোনায় মৃতের ৭৫ শতাংশ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা রাজ্যের
কোভিডে মৃত্যুতে পরিবার পাবে ৫০ হাজার টাকা। নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেইমতো উদ্যোগী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেওয়া হয়েছে বাড়তি ব্যবস্থা। আর তাতেই মাত্র দেড় মাসের মধ্যে মিলল সাফল্য। রাজ্যে করোনার জেরে প্রাণ হারানো প্রায় ৭৫ শতাংশ মানুষের নিকটাত্মীয়ের কাছে আর্থিক সহায়তা পৌঁছে দিল নবান্ন। সরাসরি তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে এককালীন ৫০ হাজার টাকা। উপকৃতের সংখ্যা ১৪ হাজারের কাছাকাছি। এর জন্য অবশ্য বিডিওর কাছে আবেদন জানাতে হয়েছে মৃতের পরিবারকে। গোটা প্রক্রিয়াটি চলছে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের তত্ত্বাবধানে। কয়েকটি জেলায় ইতিমধ্যে প্রায় সব আর্জি মঞ্জুর। এমনকী, ক্ষতিপূরণের টাকাও চলে গিয়েছে।
২ ডিসেম্বরের স্বাস্থ্যদপ্তরের বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে কোভিডে মারা গিয়েছেন মোট ১৯,৫০৭ জন। তাঁদের প্রত্যেকের পরিবারকেই এই আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। গত ৩১ ডিসেম্বর নবান্নে জমা পড়া রিপোর্ট বলছে, জমা পড়া আবেদনপত্রের সংখ্যা মোট ১৪,৮০৮টি। ইতিমধ্যে ১২,২৫৪ জনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ডিরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফারের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। নবান্নের এক উচ্চপদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, নতুন বছরের প্রথম তিন দিনে আরও প্রায় হাজার দেড়েক আবেদনকারী ওই টাকা পেয়েছেন। পরিসংখ্যানে একটা বিষয় স্পষ্ট, মোট দাবিদারের প্রায় ৭৬ শতাংশ আবেদন জমা করেছেন। অর্থাৎ, কাজ খুব বেশি বাকি নেই।
কিছু জেলা যেমন কালিম্পংয়ে একটি আবেদনও বকেয়া পড়ে নেই। ৮৭ জন আবেদনকারীর প্রত্যেকে আর্থিক সহায়তা পেয়েছেন। পাঁচটি জেলা—উত্তর দিনাজপুর, পুরুলিয়া, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও বীরভূমে মাত্র তিন থেকে ন’জনের কাছে সহায়তা পৌঁছনো বাকি। কিছু জেলায় ৫০টিরও বেশি আবেদন এখনও পর্যন্ত পড়ে রয়েছে। তাদের যত দ্রুত সম্ভব সেগুলির সুরাহা করার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। গত বছর ১৮ নভেম্বর প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আবেদন করার ৩০ দিনের মধ্যে আর্থিক অনুদান পৌঁছে যাওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে ৫০ হাজার টাকা পেয়ে গিয়েছেন অধিকাংশ আবেদনকারী।