লক্ষ্য বকেয়া কাজ দ্রুত সম্পাদন, পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধি ও কর্মীর যৌথ প্রশিক্ষণের আয়োজন রাজ্যের
নিয়মানুযায়ী পঞ্চায়েত নির্বাচনের বাকি আর ১৪-১৫ মাস। বকেয়া কাজ দ্রুত শেষ করার নিদান দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। কাজের গতি আরও বাড়াতে এখন পঞ্চায়েতের ত্রিস্তরের জনপ্রতিনিধি আর প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের মধ্যে সমন্বয় সাধনটা সবচেয়ে জরুরি। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাস জুড়ে পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধি আর কর্মচারীদের যৌথ প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। বিডিও অফিসে হবে প্রশিক্ষণ শিবিরগুলি। বাধ্যতামূলকভাবে সেই শিবিরে অংশগ্রহণ করতে হবে রাজ্যের মোট ৩২০০ গ্রাম পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধি ও কর্মচারী মিলিয়ে ৬২২৫১জনকে।
পঞ্চায়েত দপ্তর এর আগে গত ডিসেম্বর মাসে রাজ্যের ৩৩২টি ব্লকে (জিটিএ এলাকা এবং দার্জিলিং জেলা বাদে) মোট ১৬০১৩ জনকে বিভিন্ন প্রকল্পের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। পঞ্চায়েত দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই পর্বের প্রশিক্ষিতদের কাছ থেকে ‘ফিডব্যাক’ নেওয়া হয়েছিল। সেই ফিডব্যাক অনুযায়ী, অংশগ্রহণকারীদের ১০ থেক ২০ শতাংশ পঞ্চায়েত দপ্তরের এহেন উদ্যোগকে জানিয়েছিল ‘এক্সেলেন্ট’, ২১ থেকে ৪০ শতাংশ জানিয়েছিলেন ‘ভেরি গুড’ এবং ৩০ থেকে ৬০ শতাংশ বিষয়টিকে ‘ভালো’ বলে জানিয়েছিলেন। তবে ফিডব্যাক নেওয়ায় এই পর্বে ১০০ দিনের কাজ, বাড়ি বাড়ি পানীয় জল সংযোগ, গ্রামীণ আবাসন যোজনা এবং আনন্দধারা প্রকল্পের সম্পর্কে আরও ওয়াকিবহাল হওয়ার আর্জি ছিল সিংহভাগের।
পঞ্চায়েত মন্ত্রী পুলক রায় জানিয়েছেন, সেই ফিডব্যাক আমাদের বুঝতে সাহায্য করেছে, কোন কোন ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি এবং কর্মীদের যৌথ প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। তাই ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাস জুড়ে আরও বড় আকারে প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হচ্ছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত কর্মচারী এবং ত্রিস্তরের জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে নিবিড় সমন্বয়ই বকেয়া কাজ দ্রুত শেষ করার ক্ষেত্রে সহায়ক বলে মনে করা হচ্ছে। তবে প্রশিক্ষণের ওই আয়োজন, সবটাই নির্ভর করছে করোনা সংক্রমণের গতিপ্রকৃতির উপর। এদিকে, বাংলা আবাস যোজনায় গৃহহীনদের মাথার ছাদ তৈরি পর্বের মধ্যে গ্রামীণ এলাকার পরিকাঠামো গঠন শুরু হয়েছে এই প্রকল্পের অর্থ সাহায্যেই। পঞ্চায়েত দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, সদ্য শেষ হওয়া ২০২১’এ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ২৫ থেকে ৭৫ মিটার দৈর্ঘের ১০টি কংক্রিট সেতু তৈরি করা হয়েছে। আগামী অর্থ বর্ষে আরও ৪৭টি সেতু তৈরির কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে।