লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, সপ্তাহে তিনদিন বন্ধ থাকছে দুই ২৪ পরগণার বাজার
লাফিয়ে বাড়ছে করোনা (Coronavirus) সংক্রমণ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ইতিমধ্যে রাজ্যজুড়ে কড়া বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। তবুও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। এবার জমায়েতে লাগাম টানতে শহর ও শহরতলির একাধিক বাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে স্থানীয় পুরসভা। এর মধ্যে যেমন রয়েছে রাজপুর-সোনারপুর, ক্যানিং, বারুইপুর তেমনই রয়েছে বারাকপুর, দক্ষিণ দমদমের (South Dum Dum) মতো এলাকা।
বারাকপুর পুরসভা সূত্রে খবর, সপ্তাহে চারদিন এই এলাকার বাজার বন্ধ রাখা হবে। আগামী দুই সপ্তাহ বা ১৫ দিনের জন্য এই নিয়ম জারি থাকবে। শুক্রবার দুপুরে বারাকপুর পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিক-সহ একাধিক কর্তারা বৈঠক করেন। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়, সপ্তাহে সোম, বুধ এবং শুক্রবার খোলা থাকবে বাজার। সপ্তাহের বাকি চারদিন বন্ধ থাকবে বাজার। তবে ছাড় পাবে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ওষুধ, মিষ্টি- সহ একাধিক দোকান। এমনটাই জানিয়েছেন বারাকপুর পুরসভা মুখ্য প্রশাসক উত্তম দাস।
এদিকে কলকাতাতেও হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যে একাধিক আবাসনকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। রোজই বাড়ছে এই সংখ্যাটা। শুক্রবার সন্ধে পর্যন্ত কলকাতায় কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫০। চলছে সতর্কতামূলক প্রচার। নজরদারি বাড়িয়েছে পুলিশও। বাজারগুলিতেও ‘নো মাস্ক, নো সেলে’ জোর দেওয়া হয়েছে। চলছে জীবাণুমুক্তকরণও। এদিকে বৃহস্পতিবার থেকে বন্ধ রয়েছে রাজপুর-সোনারপুর বাজার। শনি-রবিবার ছাড় দিলেও ফের সোম এবং মঙ্গলবার বাজার বন্ধ রাখা হবে বলে খবর। সংক্রমণ ঠেকাতেই এই বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে।
কামারহাটি পুরসভা ৩৫টি ওয়ার্ডের ক্ষেত্রেও একইরকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুরসভার তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করা বলা হয়, ১ থেকে ১৬ নম্বর ওয়ার্ড অর্থাৎ কামারহাটি, দক্ষিণেশ্বর, আড়িয়াদহের মতো এলাকাগুলিতে সপ্তাহে তিনদিন ( সোম. বুধ এবং শুক্রবার) সমস্ত ধরনের বাজার, পাড়ার দোকান বন্ধ রাখা হবে। বাকি তিনদিন অর্থাৎ (মঙ্গল, বৃহস্পতি এবং শনিবার) ১৬-৩৫ নং ওয়ার্ড বাজার-দোকান বন্ধ থাকবে। ১০ জানুয়ারি থেকে কার্যকরী হবে নয়া নিয়ম।
দক্ষিণ দমদম পুরসভার পক্ষ থেকেও প্রায় একই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংক্রমণ বৃদ্ধির জেরে সপ্তাহে তিনদিন-মঙ্গল, বৃহস্পতি ও শনিবার এই পুরসভার অন্তর্গত ৩৫টি ওয়ার্ডের সমস্ত বাজার বন্ধ রাখা হবে। আপাতত অনির্দিষ্টকালের জন্য এই নিয়ম জারি করা হয়েছে বলে খবর। তবে ছাড় পাবে ওষুধ, মিষ্টির দোকানের মতো জরুরি পরিষেবাগুলি।