গোয়া নির্বাচনে বড় ফ্যাক্টর তৃণমূল, ঘাসফুলের প্রভাব নিয়ে চিন্তায় বিজেপি-কংগ্রেস
গোয়ায় ক্রমেই জমে উঠছে ভোটের বাজার। কিন্তু প্রশ্ন তো একটাই, ফের কি ৪০ সদস্যের গোয়া বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা জোগাড় করতে পারবে বিজেপি? নাকি বিরোধীদের জোট এবার বাজিমাত করবে? তবে ভোটবাজারে একটা কথা ঘুরেফিরে আসছে, এবার মনোহর পরিক্করের মতো নেতাকে ছাড়াই ভোটে লড়তে হবে গেরুয়া শিবিরকে। এটাই বাস্তব। এদিকে বিগতদিনে সরকার গড়ার ক্ষেত্রে গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি, মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টির মতো আঞ্চলিক দলকে পাশে পেয়েছিল বিজেপি।
কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এবার গোয়াতে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট অনেকটাই বদলে গিয়েছে। তৃণমূলের মতো শক্তি এবার গোয়াতে বিজেপির বিরুদ্ধে জোরদার লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। কার্যত উড়ে এসে জুড়ে বসেছে গোয়ায়। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে নেতৃত্ব তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত, বিগতদিনের তুলনায় এবার পরিস্থতি আলাদা। এবার তৃণমূল গোয়াকে পাখির চোখ করেছে।
এবার গোয়াতে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। আর এটাই বিজেপির কাছে আতঙ্কের অন্য়তম কারণ। এর সঙ্গেই দলের অন্দরেই নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কোভিড মোকাবিলা থেকে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা নিয়ে বার বার নানা প্রশ্ন উঠছে সরকারের বিরুদ্ধে। তবে বিজেপির কাছে আশার কথা হল, বিরোধীরা এখনও একজোট নয়।
কংগ্রেস আর জিএফপি জোট করে লড়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। অন্য়দিকে এমজিপি আর তৃণমূলের মধ্যে জোট হচ্ছে। বিরোধীদের নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি বাড়তি সুবিধা দিচ্ছে বিজেপিকে। কিন্তু তবুও তৃণমূলকে নিয়ে আশঙ্কায় গেরুয়া শিবির। সৈকত রাজ্যে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি কী রায় দেন মানুষ, তা সময়ই বলবে, কিন্তু খেলা যে জমে উঠেছে তা বলাই বাহুল্য।