রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

গ্রাম পঞ্চায়েতে ব্যাঙ্ক সংশ্লিষ্ট পরিষেবা দিতে বিশেষ শিবিরের পরিকল্পনা নবান্নের

January 9, 2022 | 2 min read

সাধারণ মানুষের জন্য চালু করা বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক প্রকল্প রূপায়ণে ব্যাঙ্কের বড় ঋণের ভূমিকা থাকে। রাজ্য সরকার চাইছে, এই প্রকল্পগুলি ভালোভাবে রূপায়ণ করতে গ্রাম পঞ্চায়েত পর্যায়ে বিশেষ শিবির খোলা হোক। প্রকল্পের সুবিধা নিতে ইচ্ছুক মানুষ এই শিবিরগুলিতে এসে সংশ্লিষ্ট সরকারি ও ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন। এতে প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া আরও সহজ হবে বলে মনে করছে সরকার। বিশেষ শিবির খোলার উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তর ও জেলা শাসকদের কাছে ইতিমধ্যে চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদি। ঩স্টেট লেভেল ব্যাঙ্কার্স কমিটির কাছেও এই চিঠি গিয়েছে। চলতি জানুয়ারি মাস থেকে এই শিবির চালু করার পরিকল্পনা ছিল সরকারের। কিন্তু করোনা সংক্রমণজনিত কারণে এখনই করা না গেলেও, পরে এই কর্মসূচি নেওয়া হবে বলে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে।

সরকারি বেশ কিছু প্রকল্প আছে, যেখানে সাধারণ মানুষকে ব্যাঙ্ক ঋণের টাকা দেয়। কৃষি কাজের ঋণের জন্য কিষান ক্রেডিট কার্ড এর অন‌্যতম। স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকেও কাজ চালানোর জন্য ঋণ দেয় ব্যাঙ্ক। প্রাণীপালন, মৎস্যজীবী, হস্তশিল্পী প্রভৃতিদের কাজের পুঁজি জোগাতে ক্রেডিট কার্ড চালু হয়েছে। উচ্চশিক্ষার জন্য রাজ্য সরকার চালু করেছে স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড। মুখ্যসচিবের পাঠানো চিঠিতে মূলত এই প্রকল্পগুলি নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত পর্যায়ে বিশেষ শিবিরের আয়োজন করতে বলা হয়েছে। মাসের প্রতি সপ্তাহে অন্তত একটি করে মোট চারটি শিবিরের আয়োজন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

রাজ্য সরকারের দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ, যে সাধারণ মানুষের জন্য চালু করা বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক প্রকল্পে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির ঋণ দিতে আগ্রহের অভাব আছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে সরকারি শীর্ষ কর্তারা এটা বলে থাকেন। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির এই অনীহার কারণে, সমবায় ব্যাঙ্কগুলিকে এগিয়ে আসার অনুরোধ করে থাকেন তাঁরা। সরকারি প্রকল্পে ঋণ দেওয়া নিয়ে স্টেট লেভেল কমিটির সভায় আলোচনা হয়। কিন্তু বৈঠকে সিদ্ধান্ত হলেও, বাস্তবে তা প্রয়োগ করার সময় খামতি থেকে যায়।

মুখ্যসচিবের তরফে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, গ্রাম পঞ্চায়েত পর্যায়ের বিশেষ শিবিরে যেন সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক ও সরকারি দপ্তরের আধিকারিকরা থাকেন। জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, শিবিরের আয়োজন সংক্রান্ত বিশেষ দায়িত্ব পালন করার জন্য একজন অতিরিক্ত জেলাশাসককে চিহ্নিত করতে হবে। একই ভাবে প্রতি দপ্তর তাদের একজন যুগ্ম সচিব পর্যায়ের আধিকারিককে এই বিষয়টি দেখার বিশেষ দায়িত্ব দেবে। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন, কৃষি, মৎস্য, শিক্ষা, ছোট-মাঝারি-ক্ষুদ্র শিল্প, সমবায়, স্বনির্ভর গোষ্ঠী দপ্তর এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকবে। এই কাজের নোডাল দপ্তর হবে সমবায় দপ্তর। ওই দপ্তরের এক আধিকারিককে নোডাল অফিসার করা হয়েছে। শিবির চালু করার আগে এলাকায় প্রচার চালিয়ে সাধারণ মানুষকে এব্যাপারে অবহিত করতে বলা হয়েছে। জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত এই উদ্যোগটি চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারি ফেডারেশনের প্রবীণ নেতা নেতা মনোজ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর চালু হলেও, এটা যেন তিন মাস ধরে চালানো হয় সেই অনুরোধ করা হয়েছে প্রশাসনিক আধিকারিকদের।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #Nabanna, #Panchayat Department, #Banking

আরো দেখুন