সংসদ ভবনে চারশোর বেশি কর্মী করোনায় আক্রান্ত, বাজেট অধিবেশনের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন
বাজেট অধিবেশনের আগেই কোভিডের কোপে সংসদ (Parliament)। সংসদের দুই কক্ষের চারশোরও বেশি কর্মী করোনায় আক্রান্ত। এই পরিস্থিতিতে বাজেট অধিবেশন আদৌ সম্ভব কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রের খবর, বাজেট অধিবেশনের (Budget Session) আগে সংসদের অন্দরে কাজ করেন এমন ১ হাজার ৪০৯ জন কর্মীর কোভিড পরীক্ষা করানো হয়েছিল। এদের মধ্যে মধ্যে ৪০২ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। সংসদ ভবনের বাইরে যারা কাজ করেন, তাঁদের কোভিড (COVID-19) পরীক্ষার রিপোর্ট এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। সূত্রের খবর, সংক্রমিতদের নমুনা পাঠানো হয়েছে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য, ৪০২ জনের মধ্যে লোকসভার ২০০, রাজ্যসভার ৬৯ এবং বাকি ১৩৩ জন সংসদের সাধারণ কর্মী। করোনা পজিটিভ কর্মীদের সবরকম সচেতনতা বিধি মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহেই শুরু হওয়ার কথা সংসদের বাজেট অধিবেশন। তার আগে সংসদের এত কর্মী একসঙ্গে করোনা আক্রান্ত হওয়ায় অধিবেশনের ভবিষ্যৎ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। করোনা সংক্রমণ দেশে থাবা বসানোর পর থেকেই সংসদের সবক’টি অধিবেশনই কোনও না কোনওভাবে প্রভাবিত হয়েছে। করোনার (Coronavirus) দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় অধিবেশন চলাকালীন বহু সাংসদও আক্রান্ত হন। স্বাভাবিকভাবেই এই পরিস্থিতিতে অধিবেশন চালু হলে সংক্রমণ বাড়ার ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে অধিবেশন পিছিয়ে দেওয়া হয়, বাকি ভারচুয়াল অধিবেশনের ব্যবস্থা করা হয়, সরকার কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেটাই দেখার।
এদিকে, দেশের কোভিড পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আজ ফের জরুরি বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বিকেল সাড়ে চারটের সময় এই বৈঠক হওয়ার কথা। তলব করা হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রকের আধিকারিকদের। ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমণে কীভাবে লাগাম পরানো যায়, সেটাই আলচনা করবেন মোদি। এই বৈঠকে আগামী দিনের কোভিড বিধি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তও হতে পারে।