মুখ্যমন্ত্রীর পাঠানো ফলের ঝুড়ি পেয়ে খুশি কোভিড আক্রান্ত বিজেপি নেতা
রাজনীতির রং বিচার করে থাবা বসায় না করোনা ভাইরাস। তাই কোভিড আক্রান্তের পাশে দাঁড়াতে রাজনীতির রং সরিয়ে মানবিকতার পরিচয়ই দিচ্ছে রাজ্যের শাসকদল। নবান্নের তরফে করোনা পজিটিভ বিভিন্নজনের বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছে ফল-হেল্থ ড্রিঙ্কস। সঙ্গে দ্রুত আরোগ্য কামনা করে মুখ্যমন্ত্রীর তরফে চিঠি। ঘরবন্দি অবস্থায় যা পেয়ে আপ্লুত বিজেপি নেতা নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়।
তিনি বিজেপির অতি পরিচিত মুখ। দলের মিটিং-মিছিলে সামনের সারিতেই দেখা যায় তাঁকে। কখনও ভিনরাজ্যে গেরুয়া শিবিরের জয়ে কলকাতার মানুষকে কমলা রসগোল্লা খাওয়ানো তো আবার কখনও দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর জন্মদিনে লাড্ডু বিতরণ, সবেতেই ফ্রন্টলাইনে ছিলেন নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়। সেই বিজেপি নেতাই এবার কোভিড পজিটিভ (Coronavirus) হয়ে হোম আইসোলেশনে। নিজের দলের অনেকেই এখনও তাঁর খোঁজখবর নেয়নি। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) তরফে পেলেন শুভেচ্ছা বার্তা। বিজেপি নেতার দ্রুত আরোগ্য কামনা করে চিঠির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর তরফে পাঠানো হয়েছে ফলের ঝুড়িও।
এদিন ফলের ঝুড়ি হাতে নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিলেন কাউন্সিলরের লোকজন। যা দেখে আপ্লুত উচ্ছ্বসিত নারায়ণ। মুখ্যমন্ত্রীর ফলের ডালির ছবি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে পোস্টও করেন তিনি। সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন। ফেসবুকে নারায়ণবাবু লেখেন, “আমাকে এবং আমার পরিবারকে এই উপহার পাঠানোর জন্য দিদি ও দাদা, দু’জনকেই অসংখ্য ধন্যবাদ।” তাঁর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বিজয় উপাধ্যায়কেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। রাজনীতির ঊর্ধ্বে গিয়ে যেভাবে এমন কঠিন সময়ে সকলের কথা ভেবেছেন মুখ্যমন্ত্রী, তাতেই অভিভূত তিনি। একইসঙ্গে তাঁর দলের প্রায় কেউই তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেননি বলেও জানান তিনি। যা নিয়ে আক্ষেপ তাঁর গলায়।
উল্লেখ্য, এদিন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) বাড়িতেও পৌঁছে গিয়েছিল ফলের সাজি এবং হেল্থ ড্রিঙ্কস। বেহালা এলাকার ১২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নিজে গিয়ে সৌরভের বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা পৌঁছে দেন। আর এবার বিরোধীপক্ষ হয়েও শুভেচ্ছা পেলেন নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়।