মমতার নির্দেশে করোনা ঠেকাতে কলকাতায় কড়াকড়ি পুলিসের
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরই শহর কলকাতায় করোনা ঠেকাতে যথেষ্ট তৎপর ও কঠোর হয়ে উঠেছে পুলিস। বিভিন্ন জায়গায় মাইকিং করে প্রচার ছাড়াও মানুষের হুঁশ ফেরাতে জরিমানাও করা হচ্ছে। পুলিস কর্তারাও পথে নেমে মানুষকে বোঝানোর কাজ করছেন। সোমবার ডি সি সেন্ট্রাল রূপেশ কুমার ফের রাস্তায় নেমে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করেন।
এদিন মধ্য কলকাতার জোড়াসাঁকো থানার উদ্যোগে ওমিক্রণ ভাইরাস রুখতে সোমবার এই সচেতনতা কর্মসূচি রাখা হয়। নেতৃত্বে ছিলেন ডি সি সেন্ট্রাল রূপেশ কুমার। এদিন ডি সির নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন পুলিসকর্মী মাইকিং করেন।
মাইকিং ছাড়াও জোড়াসাঁকো থানার সামনে যারা মাস্ক ছাড়া যাতায়াত করছিলেন তাঁদের ধরে ফাইন করা হয়। মাস্কও বিতরণ করা হয়। এছাড়াও ওই চত্বরে স্যানিটাইজেশন করা হয়। বাজার ঘুরে দেখেন ডিসি সেন্ট্রাল রুপেশ কুমার, তাঁর সঙ্গে ছিলেন অফিসার ইনচার্জ মহম্মদ আমানুল্লাহ ।
বিপজ্জনক হারে করোনা (Corona) সংক্রমণ বাড়ছে রাজ্যে৷ রবিবারের স্বাস্থ্য বুলেটিনে তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে৷ রাজ্যের এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ চরমে রাজ্যের চিকিৎসক ও প্রশাসনিক মহল (SSKM)৷ যে হারে প্রায় প্রতিদিনই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তাতে ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন সব মহলেই৷ আগের সব রেকর্ডকে ছাপিয়ে রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪ হাজার ২৮৭ জন করোনা (Omicron) আক্রান্ত হয়েছেন৷ আর করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন ১৮ জন৷
বৃহস্পতিবার নবান্নে রাজ্যবাসীকে সতর্ক করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘আগামী ১৫ দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ মানুষকে সচেতন হতে হবে৷’ এছাড়াও তিনি জানিয়েছিলেন, ‘লোকে নিয়ম মানছে না৷’ তাই পুলিসকে কড়া হতে হবে৷ এরপর গত শুক্রবারই ডি সি সেন্ট্রাল রূপেশ কুমারকে দেখা গিয়েছিল এভাবেই ধর্মতলা চত্বরে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে। আবার একই ছবি দেখা গেল সোমবার।