করোনা নিয়ন্ত্রণে দেশকে দিশা দেখাচ্ছে অভিষেকের ডায়মন্ডহারবার?
করোনার সঙ্গে লড়ছে ডায়মন্ডহারবার, সেনাপতি অভিষেক।
নতুন বছরের শুরু থেকেই ভারত জুড়ে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। কাতারে কাতারে মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। অতিমারি বিধ্বস্ত দেশকে দিশা দেখাচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা নিয়ন্ত্রণে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নেতৃত্বে ‘মডেল ডায়মন্ডহারবার’ করোনা নিয়ন্ত্রণে গোটা দেশকে পথ দেখাচ্ছে।
আসুন দেখা নেওয়া যাক, কীভাবে সাত শরে কোভিড নিয়ন্ত্রণে ‘মডেল ডায়মন্ডহারবার’-কে গড়লেন অভিষেক :
১) কোভিড কন্ট্রোল রুম :
ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত, প্রতিটি পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে এই কোভিড কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। হেল্পলাইনের মাধ্যমে আক্রান্তদের সাহায্য করা হচ্ছে। হোয়াটস্যাপ নম্বর দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাতে যোগাযোগ করলেই প্রয়োজনীয় অনুযায়ী সাহায্য মিলছে।
২) ডাক্তার হাব :
ভার্চুয়াল যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রতিটি কোভিড কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে ডাক্তারদের সংযুক্ত করে রাখা হয়েছে। ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত, প্রতিটি পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডের মানুষ প্রয়োজন অনুযায়ী যখন খুশি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারবেন।
৩) ডক্টর অন হুইলস :
অত্যাধিক সংক্রমণযুক্ত এলাকায় সংক্রমিতদের দ্রুত ও তৎক্ষণাৎ চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করতে ডক্টর অন হুইলসের উদ্যাগ নেওয়া হয়েছে। করোনা পরীক্ষা ও টিকাকরণকেও এই উদ্যাগে সামিল করা হয়েছে।
৪) সেফ হোম ও সরকারি আইসোলেশন কেন্দ্র :
যাদের বাড়িতে পৃথকভাবে আইসোলেশনে থাকার পরিস্থিতি নেই, তারা আক্রান্ত হলে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সেফ হোম ও আইসোলেশন সেন্টারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
৫) কঠোরভাবে করোনা বিধিনিষেধ পালন :
ডায়মন্ডহারবার জুড়ে কঠোরভাবে করোনা সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা মানা হচ্ছে। স্থানীয় বাজারগুলিতে যাতে করোনা সংক্রান্ত সরকারি বিধিনিষেধ মানা হয়, তা সুনিশ্চিত করছে পুলিশ। ক্রেতা-বিক্রতা উভয়ের জন্যই বাজার এলাকায় ডবল মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। করোনা স্বাস্থ্যবিধির বাস্তবায়নে প্রতিটি থানা নজরদারি চালাচ্ছে।
৬) করোনা পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধি :
সেলফ টেস্টিং অ্যান্টিজেন (RAT Kits) টেস্টের মাধ্যমে নাগরিকদের করোনা পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
৭) জমায়েত বন্ধ:
২৮ শে ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত সমস্ত রকম জমায়েত বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সব রকম জনসমাগমের অনুমতি না মঞ্জুর করা হবে। রাজনৈতিক, সামাজিক বা ধর্মীয় কোনো কারণেই ঐ সময়ের মধ্যে কোনো জমায়েত করা যাবে না।