রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

সুন্দরবন জুড়ে ছ-সাতটি পর্যটন হাব গড়ে তোলার পরিকল্পনা রাজ্যের

January 11, 2022 | 2 min read

ছবি: সংগৃহীত

 সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাগরে প্রশাসনিক বৈঠকে বলেছিলেন, সুন্দরবন পর্যটনের উন্নতিতে নজর দিতে হবে। তখন থেকেই তৎপরতা শুরু করে রাজ্য পর্যটন দপ্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। বিপুল সম্ভাবনাময় সুন্দরবন পর্যটনের ভোল বদলাতে একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা হয়। ঠিক হয়েছে, সুন্দরবন জুড়ে ছ-সাতটি পর্যটন হাব গড়ে তোলা হবে। এই পরিকল্পনা কীভাবে রূপায়িত হবে, তা খতিয়ে দেখতে সরেজমিনে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন দপ্তর ও জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। এক আধিকারিক বলেন, পুরনো পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গে নতুন কয়েকটি স্থানকেও এসব হাবে যুক্ত করা হবে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করে এই মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে। গঙ্গাসাগর মেলার পরই এই পরিকল্পনা রাজ্য সরকারের কাছে জমা দেওয়া হবে। 


কুলতলির বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রের উন্নয়ন নিয়ে সাগরে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানান বিধায়ক গণেশ মণ্ডল। তখন মুখ্যমন্ত্রী এ ব্যাপারে রাজ্য পর্যটন সচিবকে নজর দিতে নির্দেশ দেন। এক প্রশাসনিক কর্তার কথায়, সুন্দরবন মানে শুধু নদীবক্ষে বোটে চেপে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার দেখার চেষ্টা নয়। এর অফুরান প্রাকৃতিক সম্পদ, নানা সুস্বাদু মাছের ভাণ্ডার, কাঁকড়া, চিংড়ি, ম্যানগ্রোভ, ঐতিহাসিক সম্পদ, কুমির প্রকল্প, বনবিবির পালা—এসব নিয়েই সুন্দরবন। এই প্রাকৃতিক ও সামাজিক উপাদানগুলি একত্র করে পর্যটকদের সামনে তুলে ধরাই আমাদের লক্ষ্য। 


জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গঙ্গাসাগর থেকে শুরু করে বকখালি, মৌসুনি দ্বীপ, হেনরি আইল্যান্ড, পাথরপ্রতিমার জি প্লট, ভাগবতপুরের কুমির প্রকল্প, রায়দিঘির জটার দেউল, কুলতলির কেল্লা, কৈখালি, মৈপীঠের গঙ্গার ঘাট, ঝড়খালি, পাখিরালয়, সজনেখালি, সুধন্যখালি ইত্যাদি পর্যটনকেন্দ্র হাবের অন্তর্ভুক্ত হবে। এর সঙ্গে ক্যানিং ও ডায়মণ্ডহারবারের কিছু পর্যটন এলাকাকেও অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। কীভাবে কাজ করা হবে? দক্ষিণ ২৪ পরগনার এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, পর্যটন কেন্দ্র মানে একটি বা দু’টি বিল্ডিং নির্মাণ নয়। যেখানে মানুষ যাবে, তার পারিপার্শ্বিক পরিবেশের পরিবর্তনও দরকার। বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে যাওয়ার সময় দেখা গিয়েছে, রাস্তার অবস্থা বেশ খারাপ। শৌচালয়ের ব্যবস্থা পর্যন্ত নেই। এর জন্য ৩৬-৪০টি দপ্তরের সাহায্যে সব পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে। আবার অনেক জায়গায় পিপিপি (পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ) মডেলে কিছু করা যায় কি না, তাও ভেবে দেখা হচ্ছে। পর্যটকরা ঘুরতে এসে যেন কোনও সমস্যায় না পড়েন, পাশাপাশি সুন্দরবনের সৌন্দর্য তাঁদের যেন মুগ্ধ করে—সেই লক্ষ্যেই করা হয়েছে মাস্টারপ্ল্যান। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #Mamata Banerjee, #sundarban, #Tourist hub

আরো দেখুন