ওমিক্রন আর ঠান্ডার লাগার মধ্যে বিশেষ পার্থক্য নেই? গুজবে কান দিতে না করলেন বিশেষজ্ঞরা
ওমিক্রন আর ঠান্ডার লাগার মধ্যে বিশেষ কোনও পার্থক্য নেই। এটাও সাধারণ জ্বর। ক’দিন পরেই কমে যায়। এমন কথা অনেকেই ভাবছেন এবং বলছেন। এই তালিকায় শুধুমাত্র সাধারণ মানুষ নেই, রয়েছেন নামজাদা চিকিৎসক, সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞরাও। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে এক মত নয়, স্পষ্ট বার্তায় জানিয়ে দিল কেন্দ্র।
কোভিড পরিস্থিতি সামলাতে কেন্দ্রের যে বিশেষজ্ঞ দলটি কাজ করছে, তার অন্যতম সদস্য ভিকে পালের বক্তব্য, ‘একটি ভুল ধারণা ছড়িয়ে পড়ছে। এটি ঠিক নয়। আমাদের সকলের দায়িত্ব মাস্ক পরা উচিত, ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত। এই সংক্রমণের হার কমানো উচিত।’
হালে Indian Council of Medical Research (ICMR)-এর অন্যতম সদস্য জয়প্রকাশ মুলিয়িল সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেছিলেন, ‘কোভিড মোটেই আর কোনও ভয় পাওয়ার মতো অসুখ নয়। ক্রমশ এর ক্ষমতা কমে এসেছে। এখন হাসপাতালে ভর্তি না হয়েও একে সামলানো যায়।’
এই ধরনের কথার বিরোধিতা করে চিকিৎসক ভিকে পাল বলেছেন, ‘পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, ওমিক্রন এই মুহূর্তে প্রচণ্ড ক্ষমতাশালী। এবং মানুষের মোটেই এটিকে হাল্কা ভাবে নেওয়া উচিত নয়। কারণ এটি স্বাস্থ্যের উপর ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলতে পারে।
তবে শুধু জয়প্রকাশ মুলিয়িল নন, তাঁর মতো কথা বলেছেন আরও অনেক চিকিৎসকই। সেই ধারণার সঙ্গে যে কেন্দ্র সরকার এক মত নয়, তার পরিষ্কার কোভিড টাস্ক ফোর্সের প্রধানের কথায়। এবং কেন্দ্র এখনই নিয়ম শিথিল করার বিষয়ে কিছু ভাবছে না, তাও পরিষ্কার। আগামী দিনেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, মাস্ক পরা এবং নিয়ম করে টিকা নেওয়ার বিষয়ে জোর দিয়েছেন ভিকে পাল। তাঁর মতে, নিয়ম মেনে চললেই ওমিক্রন সংক্রমণের হার কমানো যেতে পারে। এই সংক্রমণটিকে লাগামছাড়া বাড়তে দিলে, তার ফল ভালো নাও হতে পারে।