‘নেই রেলের নিজস্ব কিছুই’ ময়নাগুড়ির দুর্ঘটনায় সরব রেল ইউনিয়নের একাধিক কর্তাব্যক্তিরা

পরিকাঠামো-রক্ষণাবেক্ষণের অভাব, বেসরকারি সংস্থার হাতে রেলের ট্র্যাক রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব, নিয়োগে ঢিলেমি- রেলের একাধিক ‘অক্ষমতার’ তথ্য উঠে আসছে।

January 14, 2022 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

ময়নাগুড়ির রেল দুর্ঘটনা নিয়ে একাধিক প্রশ্নের উত্থাপন। শীতে রেললাইনে সংকোচন প্রসারণ স্বাভাবিক ঘটনা? গ্যাংমানদের নজরদারি কি ছিল না? গুয়াহাটি বিকানের এক্সপ্রেসের সব বগি নিয়মিত পরীক্ষা হত? কেন ওই ট্রেনে এলএইচবি কোচ লাগানো হয়নি? এই সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে রেলমন্ত্রককে। পাশাপাশি রেলের ভূমিকা নিয়েই উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন। রেল ইউনিয়নগুলির কথাতেই উঠে আসছে একাধিক ফাঁক ফোকড়ের কথা। পরিকাঠামো-রক্ষণাবেক্ষণের অভাব, বেসরকারি সংস্থার হাতে রেলের ট্র্যাক রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব, নিয়োগে ঢিলেমি- রেলের একাধিক ‘অক্ষমতার’ তথ্য উঠে আসছে।

সরব হয়েছেন হয়েছেন রেল ইউনিয়নের একাধিক কর্তা ব্যক্তিরা। ইস্টার্ন রেল মেনস ইউনিয়নের জেনারেল সেক্রেটারি অমিত ঘোষ বলেন, ‘সাধারণ যাত্রীদের জানিয়ে রাখি, রেলের নিজের বলে আর কিছু নেই। না আছে কর্মী, না আছে রক্ষণাবেক্ষণ। রেলের ড্রাইভার, গার্ড, স্টেশনমাস্টার, সিগন্যালম্যানের ডিউটির কোনও শেষ নেই। ২৪ ঘণ্টা কাজ করছেন তাঁরা। লোক নেই। না আছে ট্র্যাক মেইনটেইন করার সঠিক ব্যবস্থা। আসলে লোক নিয়োগ করেনি সরকার। ভোট নিয়োগের কথা ভেবেই লক্ষ লোক নিয়োগের কথা বলেছিল। কিন্তু সবই ধাপ্পাবাজি’।

এই দুর্ঘটনার জন্য রেলের বেহাল পরিকাঠামোকেই দায়ী করেছেন তিনি। অন্যদিকে, নর্থ ফ্রন্টটিয়ার রেলওয়ে মজদুর ইউনিয়নের জেনারেল সেক্রেটারি পরিতোষ পাল বলেন, ‘যান্ত্রিক ক্রুটির কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। রেলমন্ত্রীও প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে সে কথা বলেছেন’।

রেলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীরাও। তাঁদের একাংশ ইতিমধ্যেই অভিযোগ করেছে, রেলের নিম্নমানের বগিগুলিকেই বাংলার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। একই অভিযোগ করেছেন তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। দুর্ঘটনার পিছনে রেলের গাফিলতিকেই দায়ী করেছেন তিনি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen