নিজের ইচ্ছে শিক্ষা দপ্তরের উপর চাপাবেন না, রাজ্যপালকে কটাক্ষ শিক্ষামন্ত্রীর
ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। শুক্রবার ট্যুইট করে রাজ্যপাল তথা আচার্য ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন-কে নিয়োগ করার কথা ঘোষণা করেন। যদিও রাজ্যপাল ট্যুইটে এ কথা জানান রাজ্য সরকারের তরফে সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশ্ববিদ্যালয় অস্থায়ী হিসেবে নিয়োগ করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু তিনি যেহেতু দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব সামলাছেন তাই তার বদলে ডিন-কে নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
এ দিকে তার নিয়োগের ঘোষণার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই উচ্চশিক্ষা দফতর ও অবশ্য বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দিল সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করা হচ্ছে। যদিও উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে আচার্য যাকে নিয়োগপত্র দিয়েছেন তিনি জানিয়েছেন ‘এই’ পদ নিতে তিনি রাজি নন। তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চালানোর জন্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় অস্থায়ী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করা হচ্ছে।
যদিও অধ্যাপিকা সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সংস্কৃত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদের দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে। তার জায়গায় ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য পদে দায়িত্ব যিনি ছিলেন তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবারের রাজ্যপালের নিয়োগের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই উচ্চশিক্ষা দফতর নিয়োগকে কেন্দ্র করে শুরু হয় কার্যত বিতর্ক। যদিও রাজ্যপাল তথা আচার্যকে লক্ষ্য করে কড়া ট্যুইট করেন শুক্রবার সন্ধ্যেবেলাতেই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ট্যুইট এ তিনি লিখেন, ‘মাননীয় মনোনীত আচার্যকে এখনও বলব তৃতীয় বারের নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করুন। যুদ্ধংদেহী মনোভাব রেখে নিজের অভিপ্রায় শিক্ষা দফত্রের ওপর চাপাবেন না। বিধি অনুযায়ী নিযুক্ত নবনির্বাচিত উপাচার্যদের অভিনন্দন।’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাজ্যপাল তথা আচার্য তাঁর অনুমোদন না নিয়ে রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন। শুধু তাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়গুলির নাম করে তিনি উল্লেখ করেছিলেন তার ট্যুইটে। যাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে যায়। শুধু তাই নয়, উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে নতুন করে রাজ্যের রাজ্যপাল সংঘাত প্রকাশ্যে আসে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু অবশ্য আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রীকে আনা যায় নাকি সেই নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে বলেও জানান। যাকে কেন্দ্র করেও নতুন করে শিক্ষা মহলে আলোচনা শুরু হয়। উপাচার্য পদে নিয়োগকে কেন্দ্র করে এ দিনের ঘটনা ফের নতুন করে বিতর্ক তৈরি হল।