ফের ঊর্ধ্বমুখীকরোনা গ্রাফ, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ৮০ হাজার পার
মাঝখানে দিন দুয়েক করোনা সংক্রমণের গ্রাফ খানিকটা নিম্নমুখী হওয়ার ইঙ্গিত মিলেছিল। কমছিল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। বিশেষজ্ঞরাও একটু স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছিলেন। কিন্তু সবটাই ফের আশঙ্কায় পর্যবসিত হল। দু’দিন বাদে ফের একধাক্কায় অনেকটা বাড়ল দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। অনেকটা বাড়ল অ্যাকটিভ কেসও।
বুধবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৮২ হাজার ৯৭০ জন। যা আগের দিনের থেকে ৪৪ হাজার ৮৮৯ জন বেশি। আক্রান্তের সংখ্যায় মহারাষ্ট্র, কেরল, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, অসম, বাংলার মতো রাজ্যগুলি। দেশের পটিজিভিটি রেট ফের বেড়ে হয়েছে ১৫.১৩ শতাংশ। সেটাই বেশি চিন্তায় রাখছে চিকিৎসকদের। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট ওমিক্রন আক্রান্ত ৮ হাজার ৯৬১ জন। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ৪৪১ জনের। এই সংখ্যাটাও আগের দিনের থেকে অনেকটা বেশি। এখনও পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৮৭ হাজার ২০২ জন।
এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় উদ্বেগের কারণ অ্যাকটিভ কেস। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে করোনায় চিকিৎসাধীন রোগী ১৮ লক্ষ ৩১ হাজার জন। যা আগের দিনের থেকে প্রায় ৯৪ হাজার বেশি। এই সংখ্যাটা বিশেষজ্ঞদের মধ্যে রীতিমতো ভয় ধরাচ্ছে। লাগাতার যেভাবে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে তাতে আগামী দিনে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতো সংকট তৈরি হতে পারে। পরিসংখ্যান বলছে, এখনও পর্যন্ত দেশে ৩ কোটি ৫৫ লক্ষ ৮৩ হাজার ৩৯ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৮৮ হাজার ১৫৭ জন।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত দেশে প্রায় ১৫৮ কোটি ৮৮ লক্ষের বেশি ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। ১৫ থেকে ১৮ বছরের কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে টিকাকরণের গতিও বেশ সন্তোষজনক। স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই ৫০ শতাংশের বেশি পড়ুয়া করোনার টিকার অন্তত একটি ডোজ পেয়ে গিয়েছে। টিকাকরণের পাশাপাশি আগের মতোই চলছে টেস্টিংও। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা পরীক্ষা হয়েছে ১৮ লক্ষ ৬৯ হাজার ৬৪২ জনের।