বঙ্গ বিজেপিতে গৃহযুদ্ধ! বিদ্রোহীদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কী? উঠছে প্রশ্ন

সূত্রের দাবি, ১০ তারিখ কেন্দ্রীয় জাহাজ রাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের ও তাঁর অনুগামীদের অসন্তোষ নিয়ে আলোচনায় বসার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু নাড্ডা নিজেই করোনা আক্রান্ত হওয়ায় বঙ্গ সফর বাতিল করেছিলেন।

January 20, 2022 | 2 min read

Authored By:

Drishti Bhongi Drishti Bhongi

‘১০’ এর গেরোয় আটকে বঙ্গ বিজেপির বিক্ষুব্ধদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ। দলের রাজ্য কমিটি এবং জেলা সভাপতি গঠন নিয়ে গেরুয়া পার্টিতে গৃহযুদ্ধ চলছে। কেন্দ্রীয় জাহাজ রাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে এক ঝাঁক বিধায়ক ও প্রাক্তন রাজ্য পদাধিকারীরা বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন। বঙ্গ পার্টির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী অপসারণ তাদের একমাত্র দাবি। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কথায় আছে, দশ চক্রে ভগবান ভূত। আবার এই মুহূর্তে বিক্ষুব্ধ নেতাদের কাছে ১০ সংখ্যাটা আদৌ শুভ না অশুভ, তা নিয়ে জোর চর্চা চলছে। কারণ চলতি মাসের ৯ এবং ১০ তারিখ দুদিনের সফরে কলকাতায় আসার কথা ছিল দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার। সূত্রের দাবি, ১০ তারিখ কেন্দ্রীয় জাহাজ রাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের ও তাঁর অনুগামীদের অসন্তোষ নিয়ে আলোচনায় বসার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু নাড্ডা নিজেই করোনা আক্রান্ত হওয়ায় বঙ্গ সফর বাতিল করেছিলেন।

কেন্দ্রীয় সভাপতির কাছে অমিতাভের বিরুদ্ধে সরাসরি নালিশ করার সুযোগ হারিয়েছে বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী। তারপর নিজেদের অবস্থান জাহির করতে পোর্টের গেস্ট হাউস, বনগাঁয় পিকনিক সহ একাধিক কর্মসূচি নিয়েছেন জয়প্রকাশ মজুমদার, সায়ন্তন বসু, রীতেশ তেওয়ারিরা। এত কিছুর পরেও, কার্যত সেই ১০ সংখ্যাতেই আটকে গেছে বিক্ষুব্ধদের পরবর্তী পদক্ষেপ। কেন না দিল্লি নেতৃত্ব সাফ জানিয়ে দিয়েছে, বাংলা এই মুহূর্তে তাদের অগ্রাধিকারে নেই। নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, জেপিন নাড্ডা থেকে শীর্ষ নেতারা ব্যস্ত উত্তরপ্রদেশ নির্বাচন নিয়ে। আগামী ১০ মার্চ যোগীর ভাগ্য নির্ধারিত হবে ভোটের ফলাফলে। ততদিন অর্থাৎ মার্চের ১০ পর্যন্ত বিক্ষুব্ধদের নালিশ কার্যত খামবন্দি হয়ে পড়ে থাকবে। ১০ তারিখের পর স্পষ্ট হতে পারে কেন্দ্রীয় শাসক দল রাজ্য পার্টির কোন পক্ষের দিকে থাকে। ততদিন পর্যন্ত বিক্ষুব্ধরা এই অসন্তোষের ‘টেম্পো’ কতটা ধরে রাখতে পারে, এখন তাই দেখার।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিক্ষুব্ধ নেতার কথায়, আরএসএস এবং কেন্দ্রীয় পার্টিকে আমাদের বার্তা ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে। আমরা কী চাইছি, তাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে সমস্ত পক্ষের কাছে। এবার যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার কেশব ভবন এবং দিল্লি থেকে হবে। আগামী ১০ মার্চ পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোন বিকল্প পথ নেই। তিনি আরও বলেন, পার্টি ছেড়ে সংগঠনকে দুর্বল করার কোন ইচ্ছা আমাদের নেই। অমিতাভবাবুর সাংগঠনিক ভুল সিদ্ধান্তকে আমরা মানতে পারছি না। এভাবে চলতে থাকলে আগামী পুরসভা নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবি হবে। মাঝখান থেকে ফয়দা তুলবে বামেরা। স্বভাবতই ১০ মার্চ পরে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে সাংগঠনিক ব্যর্থতা ও নির্বাচনী বিপর্যয়ের কৈফিয়ত দিতে হবে সাধারণ সম্পাদককে (সংগঠন)। তাই এই মুহূর্তে আমরা ধীরে চলো নীতি নিয়েছি। গোটা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen