বেটি পটাও! পিএম মোদীর ভুল মন্তব্য ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষের বন্যা
দিন কয়েক আগেই আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভাষণ দিতে গিয়ে টেলিপ্রম্পটার বিভ্রান্তিতে নাজেহাল হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার তাঁর স্বপ্নের বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও স্লোগানকে ভুলভাবে উল্লেখ করে নেটিজেনদের কটাক্ষের শিকার হলেন তিনি। বৃহস্পতিবার ব্রহ্ম কুমারী আয়োজিত ‘আজাদি কি অমৃত মহোৎসব সে স্বর্ণিম ভারত কি ঔর’ কর্মসূচির উদ্বোধনী ভাষণ দিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে বেটি পড়াও বলতে গিয়ে মুখ ফস্কে তিনি বলে ফেলেন বেটি পটাও। তারপরেই ওই মন্তব্য ঘিরে শুরু হয় মিমের বন্যা। নানাবিধ কটাক্ষ শুরু করেন নেটিজেনরা।
ওই মুখ ফস্কানো ছাড়া বাকি অনুষ্ঠান অবশ্য সাবলীলভাবেই সামলেছেন মোদী। বলেন, আন্তর্জাতিক মহলে ভারতকে নিয়ে নানা বিরূপ প্রচার চলে। ভারতীয় সংস্থাগুলির উচিত সেই গুজবের মোকাবিলা করা। বহির্বিশ্বে যাতে দেশ সম্পর্কে প্রকৃত সত্য পৌঁছয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। তাঁর এই মন্তব্যে বিতর্ক হতে পারে আঁচ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রাজনীতির তকমা দিয়ে আমরা আমাদের দায়িত্ব অস্বীকার করতে পারি না। এটা রাজনীতি নয়। এর সঙ্গে দেশের সম্মান জড়িত।’
প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, গত ৭৫ বছর ধরে দেশবাসী অধিকারের লড়াই চালিয়েছে। কিন্তু নিজেদের দায়িত্ব ভুলে গিয়েছে। যার নিট ফল, দেশ ক্রমশ দুর্বল হয়েছে। এখন দেশের মানুষের দায়িত্ব বুঝে কাজ করার সময়। এতেই দেশ নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে। ভিডিও কনফারেন্সে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই কর্মসূচি দেশকে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা জোগাবে। দেশ যে কেবল একটি ভূখণ্ড নয়, তাই বারবার বোঝনোর চেষ্টা করেছেন প্রধামন্ত্রী। বলেছেন, ‘দেশ এগলে আমরাও এগিয়ে যাব। দেশের সঙ্গে আমাদের অস্তিত্বের পারস্পরিক সম্পর্ক রয়েছে। প্রত্যেকের প্রচেষ্টাতেই দেশ এগিয়ে চলেছে।’
অতীতের তুলনায় বর্তমানের তফাৎ বোঝাতে বৈষম্যহীন ব্যবস্থার কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘এখন এমন একটি ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে, যেখানে বৈষম্যের কোনও সুযোগ নেই। সামাজিক ন্যায় ও সাম্য প্রতিষ্ঠায় যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেগুলিকে সমর্থন করা দেশবাসীর কর্তব্য।’ তিনি আরও বলেন, ‘এমন এক ভারতের উদয় হয়েছে যার উদ্ভাবনী চিন্তা রয়েছে। প্রগতিশীল সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রাখে এই দেশ। এই ভারতের উজ্জ্বল চিত্র বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’ দেশের প্রকৃত চিত্র সকলের সামনে তুলে ধরা দেশবাসীর দায়িত্ব বলে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন।