দেশ বিভাগে ফিরে যান

ধর্ম সংসদে ঘৃণা-ভাষণের বিরুদ্ধে খবরের জের, গ্রেপ্তার কেরলের সাংবাদিক

January 22, 2022 | < 1 min read

হরিদ্বারের ধর্ম সংসদে ঘৃণা-ভাষণের বিরুদ্ধে (Haridwar hate assembly) খবর করার অভিযোগে কেরল পুলিস এক সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করল (Journalist arrested)। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩ ধারায় (IPC 153 ) বেআইনি কায কলাপ ও দাঙ্গায় প্ররোচনার অভিযোগ করা হয়েছে। কাদের কারিপোডি নামে ওই সাংবাদিকের ইউ-টিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার হলেন ৯ লক্ষ ৬৩ হাজার জন। সম্প্রতি তাঁর একটি শোয়ে হরিদ্বারের ধর্ম সংসদের সমালোচনা করা হয়েছিল। পুলিসের অভিযোগ, ওই শো যথেষ্ট প্ররোচনামূলক।

গত সপ্তাহেই কেরল পুলিস এক মুসলিম ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে। বুল্লি-বাই অ্যাপের সমালোচনা করে তিনি একটি ফেসবুক পোস্ট করেন। পুলিসের বক্তব্য, ওই ফেসবুক পোস্টের বিষয়বস্তুকে ঘিরে সাম্প্রদিক দাঙ্গায় প্ররোচনা ছড়াতে পারে। ওই ব্যবসায়ী জামিনে ছাড়া পেয়েছেন।

আরএসএস-এর বিরূদ্ধে ফেসবুক পোস্ট করায় উসমান হামিদ নামে স্থানীয় এক রাজনীতিবিদকে ১৪ দিন জেল খাটতে হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ১৫৩এ ধারায় অভিযোগ করা হয়েছিল। ওই ফেসবুক পোস্টে হামিত আরএসএস এবং কেরল পুলিসের সমালোচনা করেন। তিনি গেরুয়া বাহিনীর বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছিলেন। হামিদ শুক্রবার জামিনে মুক্ত হন।

কেরল পুলিস ইদানিং মুসলিম অ্যাক্টিভিস্টদের বিরুদ্ধে ব্যাপক ধরপাকড় অভিযান শুরু করেছে। বিশেষ করে সামাজিক মাধ্যমে যে সমস্ত মুসলিম সমাজকর্মী আরএসএস এর বিরুদ্ধে অত্যন্ত সক্রিয়, তাঁদের পিছনে লেগেছে কেরল পুলিস, এমনটাই অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর গত কয়েকমাসে অন্তত ১০০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে কেরল পুলিস।

বামশাসিত কেরলে সঙ্ঘ পরিবার তথা বিজেপির সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক খুবই তিক্ত। প্রায়ই কেরলে বামেদের সঙ্গে সঙ্ঘ পরিবার বা বিজেপির মারামারি কিংবা খুনোখুনি লেগেই থাকে। এই পরিস্থিতিতে হঠাৎ পুলিস সঙ্ঘ কিংবা বিজেপি বিরোধী মুসলিম সমাজকর্মীদের বিরুদ্ধে কেন এমন খড়্গহস্ত হয়ে উঠেছে, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#journalist, #Haridwar hate assembly, #kerala police

আরো দেখুন