রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

মিডডে মিলে পুষ্টিকর চাল আগামী মার্চ মাসেই চালু করতে চায় রাজ্য খাদ্য দপ্তর

January 24, 2022 | 2 min read

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ও স্কুলের মিড ডে মিল প্রকল্পের জন্য প্রতি তিনমাসে রাজ্যে প্রয়োজন হবে ১ লক্ষ ২৭ হাজার টন পুষ্টিকর চাল। এই বিশেষ ধরনের চাল জোগানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করেছে খাদ্যদপ্তর। আগামী মার্চ থেকে প্রকল্পটি রাজ্যে পুরোপুরি চালু করতে চাইছে সরকার। প্রথম তিনমাসের প্রয়োজনীয় চাল উৎপাদন ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সম্পন্ন করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত রাইস মিলগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুষ্টিকর চাল উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় বিশেষ যন্ত্র জানুয়ারির মধ্যে লাগিয়ে নিতে বলা হয়েছে। পুষ্টিকর চাল উৎপাদনের জন্য রাইস মিলগুলি সরকারি হারে অতিরিক্ত অর্থ পাবে। 


কলকাতা-সহ রাজ্যের প্রতি জেলার জন্য কী পরিমাণ পুষ্টিকর চাল প্রয়োজন হবে, তার তিনমাসের হিসেব খাদ্যদপ্তর নির্ধারণ করেছে। জেলা ভিত্তিক রাইস মিল নির্দিষ্ট করা হয়েছে চাল সরবরাহ করার জন্য। মোট ১১৪টি রাইস মিল পুষ্টিকর চাল উৎপাদন করে তা সরবরাহ করবে। প্রকল্পটি চালানো নিয়ে খাদ্যদপ্তর সম্প্রতি বিশেষ বৈঠক ডাকে। ওই বৈঠকে খাদ্যদপ্তরের সচিব অচিন্ত্যকুমার পতি সহ দপ্তরের পদস্থ আধিকারিকরা ছিলেন। অন্যদিকে, রাইস মিল মালিকদের সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি আব্দুল মালেক সহ আরও কয়েকজন প্রতিনিধিরা বৈঠকে ছিলেন।

শিশু ও গর্ভবতী মহিলাদের অপুষ্টিজনিত সমস্যা দূর করতে গোটা দেশে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ও স্কুলের মিড ডে মিল প্রকল্পে পুষ্টিকর চাল সরবরাহ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই চাল উৎপাদনের বিশেষ প্রক্রিয়া আছে। বিশেষ ব্যবস্থায় চালের সঙ্গে ভিটামিন, আয়রন ও বিভিন্ন খনিজ পদার্থ মিশ্রিত করে প্রথমে ফর্টিফায়েড রাইস কারনেল (এফআরকে) তৈরি করা এরপর এফরআরকে-র সঙ্গে সাধারণ চাল নির্দিষ্ট অনুপাতে মিশিয়ে পুষ্টিকর চাল উৎপাদন করতে হবে। ৯৯ ভাগ সাধারণ চাল ও একভাগ এফআরকে রাখতে হবে পুষ্টিকর চালে। এই মিশ্রণের কাজটি করার জন্য বিশেষ যন্ত্র কিনতে হবে রাইস মিলে। এফআরকে এখন এরাজ্যে উৎপাদন শুরু হয়নি। ভিন রাজ্য থেকে তা আনতে হবে। এফআরকে উৎপাদনকারীদের প্যানেল তৈরি করে দেবে খাদ্যদপ্তর। তাদের কাছ থেকে রাইস মিলগুলিকে এফআরকে কিনে আনতে হবে। পুরো প্রক্রিয়ার উপর খাদ্যদপ্তর বিশেষ নজরদারি চালাবে। চালের গুণগত মান পরীক্ষা করে দেখবে দপ্তর। পুষ্টিকর চালের বস্তার উপর বিশেষ লোগো থাকবে।

আগামী দিনে পুষ্টিকর চালের সরবরাহ বাড়বে বলে কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছে। রেশনে আগামী দিনে এই চাল সরবরাহ করা হতে পারে। এর জন্য কয়েকটি রাজ্যে ইতিমধ্যে পাইলট প্রকল্প চালু হয়েছে। সম্ভাব্য চাহিদা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যে এফআরকে উৎপাদন শুরু করার উদ্যোগ শুরু হয়েছে। জেলা ভিত্তিতে এফআরকে-র উৎপাদন হোক এটা চাইছে সরকারও। এর জন্য রাইস মিলে বিশেষ যন্ত্র বসাতে হবে। এই প্রকল্পে বেশ কিছু রাইস মিল প্রাথমিকভাবে আগ্রহ দেখিয়েছে। অন্যদিকে, আরও বেশি সংখ্যক রাইস মিলে এফআরকে-র সঙ্গে সাধারণ চাল মিশিয়ে পুষ্টিকর চাল উৎপাদনের ব্যবস্থাও প্রয়োজন হবে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Food grains, #West Bengal, #mid Day Meal, #Nutrition

আরো দেখুন