শোকজ নোটিসের জের, ‘তৎকাল নেতা’ সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বিজেপি নেতা রীতেশ তিওয়ারি
বিদ্রোহের আঁচে তপ্ত বিজেপি। সেই আগুনে জল ঢালতেই বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার ও রীতেশ তিওয়ারিকে শোকজ নোটিশ পাঠিয়েছে দলের রাজ্য নেতৃত্ব। আর এই শোকজ নোটিশ পেয়েই আরও যেন জ্বলে উঠেছেন বিদ্রোহীরা। জয়প্রকাশ ফের একবার বৈঠক করেছেন শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে। এদিকে মুখ খুলেছেন রীতেশ তিওয়ারিও। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাতকারে রাজ্য নেতৃত্বের প্রতি বিষোদগার উগরে দিয়ে রীতেশ তিওয়ারি দাবি করেন, তিনি কারোর দয়ায় নেতা হননি, বুথ স্তর থেকে রাজনীতি করতে তকরতে উঠেছেন।
শোকজ নোটিশ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে রীতেশ তিওয়ারি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘দলবিরোধী মন্তব্য করার জন্য আমাকে শোকজ করা হয়েছে। কিন্তু দলবিরোধী বা দলের কোন নেতার বিরুদ্ধে কোথায়, কখন মন্তব্য করেছি, সেটা বুঝলাম না। সেই বিষয়ে কোনও উল্লেখ করা হয়নি শোকজ চিঠিতে। আমি এই শোকজ নোটিশের চিঠি কাউকে দেইনি। তবে যেই তত্কাল নেতারা আমাকে চিঠি পাঠিয়েছেন, তাঁরাই আমাকে তা পাঠানোর আগে সংবাদমাধ্যমে ফাঁস করেছেন। আমার দোষটা আমাকে স্পষ্ট ভাবে জানানো উচিত ছিল। তাহলে আমি শোকজের জবাবটা দিতে পারতাম।’
রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোপ দেগে রীতেশ তিওয়ারি আরও অভিযোগ করেন, তাঁর ভাবমূর্তিতে দাগ লাগাতেই এই শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমেই নাকি তাঁর ভাবমূর্তির নষ্টের চেষ্টা করেছেন দলের একাংশ। এই আবহে রীতেশ তিওয়ারি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে দেন, যাঁরা এই শোকজ নোটিশ সংবাদমাধ্যমে ফাঁস করল, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হবে কিনা। তাঁর আরও অভিযোগ, দলের দায়িত্বে থাকা নেতৃত্ব তাঁকে ষড়যন্ত্র করে কমিটি থেকে সরিয়েছে। পাশাপাশি তাঁর আরও দাবি, তৃণমূল-বাম নেতাদের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক থাকলেও সেই দলগুলির থেকে তিনি কোনওদিন কোনও সুযোগ সুবিধা নেননি। ক্ষোভ উগরে তিনি আরও বলেন, ‘তৎকালদের কাছ থেকে পার্টির প্রতি দায়বদ্ধতা শিখতে হবে না।’