বঙ্গবিজেপিতে কোন্দলের জের, শাহ-নাড্ডার সময় চেয়ে দরবার জয়প্রকাশ-রীতেশের
দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে শাস্তির মুখে দুই বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার এবং রীতেশ তিওয়ারি। তাঁদের শোকজ করেছে রাজ্য বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। তবে উত্তর দেওয়ার নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি। আর সেই সুযোগেই তাঁরা এবার দিল্লিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দ্বারস্থ হতে চলেছেন তাঁরা। সূত্রের খবর, অমিত শাহ (Amit Shah) ও জে পি নাড্ডার (JP Nadda) সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে রাজ্য বিজেপির এই দুই নেতা চিঠি পাঠাচ্ছেন। সম্ভবত ২ ফেব্রুয়ারি তাঁরা দিল্লি (Delhi)যাবেন। শাহ-নাড্ডার সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়ে আবেদন জানাচ্ছেন তাঁরা। জয়প্রকাশ ও রীতেশ ছাড়াও রাজ্যের মণ্ডল সভাপতিদের একাংশও দেখা করতে চান কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে।
লাগাতার দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে বিজেপির ‘বিক্ষুব্ধ’ দুই নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার এবং রীতেশ তিওয়ারির বিরুদ্ধে দল কড়া পদক্ষেপ নিতে পারে, এমন আঁচ পাওয়াই গিয়েছিল। রবিবার তাঁদের নামে শোকজ চিঠি পাঠায় রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। তবে সেই চিঠি হাতে পেয়ে দুই নেতাই নিজেদের মতো করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তুতি নেন। চিঠি পেয়েই জয়প্রকাশ মজুমদার (Jayprakash Majumder) গোপনে ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়িতে চলে যান। ‘বিক্ষুব্ধ’ সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের (Santanu Thakur)সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন বলে গোপন সূত্রে খবর। সম্ভবত সেখানেই তিনি রণকৌশল স্থির করেছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, সব পরিস্থিতিতে জয়প্রকাশ-সহ সমস্ত বিক্ষুব্ধ নেতাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন শান্তনু।
আর রীতেশ তিওয়ারি স্পষ্ট ক্ষোভপ্রকাশ করে জানিয়েছিলেন, ”দলীয় নেতৃত্বই শোকজের কথা সংবাদমাধ্যমে ফাঁস করে শৃঙ্খলা ভেঙেছে। তাঁদের কোনও সার্টিফিকেট আমার দরকার নেই। আমি ৩২ বছর ধরে দল করছি। নানা উত্থানপতন হৃদয় দিয়ে অনুভব করেছি। দলের কাজ অন্যদের কাছে শিখব না।”
পরবর্তীতে আরও জানা যাচ্ছে, রাজ্য কমিটির শোকজের জবাব এড়িয়ে আগে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলতে চান জয়প্রকাশ ও রীতেশ। তাঁরা পাশে পাচ্ছেন আরও কয়েকজন ‘বিক্ষুব্ধ’ নেতাকে। সকলের তরফে জে পি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করার আবেদন জানানো হয়েছে। বঙ্গ বিজেপির বিক্ষুব্ধ প্রতিনিধিদের আবেদনে কতটা সাড়া দেন শাহ-নাড্ডা, সেটাই দেখার।