আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে নতুনরূপে সেজে উঠছে মিলনমেলা প্রাঙ্গণ
সায়েন্স সিটির পাশাপাশি মিলনমেলা প্রাঙ্গণও হয়ে উঠবে পর্যটকদের আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্র।

নবরূপে সেজে উঠছে মিলনমেলা প্রাঙ্গণ। একেবারে আধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি হচ্ছে এই মেলা চত্বর। মেলা বা প্রদর্শনীর অঢেল জায়গা। থাকছে এক লক্ষ বর্গফুটের দু’টি আলাদা অডিটোরিয়াম, ফুড কোর্ট, মাল্টি কার পার্কিং ব্যবস্থা। তৈরি হচ্ছে বিশ্ব বাংলা স্ট্যান্ড। এটি পুরোপুরি ইস্পাতে মোড়া। লম্বায় ১৮০ ফুট। এই স্তম্ভের মাথায় লাগানো হবে বিশ্ব বাংলা গ্লোব। সেখান থেকে বিচ্ছুরিত হবে আলোকরশ্মি। এই ‘লেজার বিম’ ছিটকে এসে পড়বে অডিটোরিয়ামের গায়ে। মায়াবি আলোয় বর্ণময় হয়ে উঠবে গোটা মিলনমেলা প্রাঙ্গণ। সব মিলিয়ে এই কাজে ব্যয় হচ্ছে ৩৫০ কোটি টাকা। দ্রুত এই কাজ শেষ করার লক্ষ্য নিয়েছে নবান্ন। সব ঠিক থাকলে মার্চেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত দিয়ে উদ্বোধন হবে এটির।
মা উড়ালপুল তৈরি হওয়ার আগে পরমা আইল্যান্ডে লাগানো ছিল বিশ্ব বাংলা গ্লোব। তবে উড়ালপুল তৈরির জন্য সেটি ভেঙে ফেলতে হয় নির্মাণকারীদের। বিশ্ব বাংলা আজ ব্র্যান্ড হিসেবে উঠে এসেছে বিশ্বের দরবারে। কলকাতা বিমানবন্দর সহ বিভিন্ন জায়গায় তৈরি হয়েছে বিশ্ব বাংলা স্টল। দীঘার সমুদ্র সৈকতে গড়ে উঠেছে বিশ্ব বাংলা পার্ক। এবার গ্লোব বসবে শহরের সব থেকে উঁচু স্তম্ভ বিশ্ব বাংলা স্ট্যান্ডে। সেই স্ট্যান্ডের মাথা থেকেই হবে আলোর বিচ্ছুরণ। এরজন্য অবশ্য কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। অত উঁচু থেকে সেই রশ্মি এসে পড়বে সাদা স্ক্রিনের অডিটোরিয়ামে। রীতিমতো দর্শনীয় স্থান হয়ে উঠবে মিলনমেলা প্রাঙ্গণ। দু’টি অডিটোরিয়ামে হবে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা। এছাড়াও ওপেন এয়ার এগজিবিশনের ব্যবস্থাও থাকছে। এখানেই গড়ে উঠছে প্রশাসনিক ভবন, ফুড কোর্ট ও একসঙ্গে ১২০০ গাড়ি রাখার মাল্টি কার পার্কিং সেন্টার। এই নির্মাণ কাজের দায়িত্বে দিল্লির একটি সংস্থা। এই কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালে।
এই প্রাঙ্গণ তৈরি হয়ে গেলে বড় মেলা সহ বিভিন্ন প্রদর্শনী করার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা থাকবে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান, দেখার মতো স্থাপত্য হোক এটি। গোটা কাজের তত্ত্বাবধান করছে রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমের অধীনে থাকা ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রেড প্রোমোশন অর্গানাইজেশন। মাঝে করোনা সংক্রমণের কারণে কাজ কিছুটা বিলম্বিত হলেও এখন চলছে জোরকদমে।
এর আগে নিউটাউনে বিশ্ব বাংলা গেট তৈরি হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটা সময় কলকাতা গেট তৈরি করতে চেয়েছিলেন। মেলা প্রাঙ্গণে যে স্তম্ভ তৈরি হচ্ছে, তা বিশ্ব বাংলা স্ট্যান্ড নামেই সর্বত্র পরিচিত হয়ে উঠবে বলেই মনে করছেন শহরের বাসিন্দারা। সায়েন্স সিটির পাশাপাশি মিলনমেলা প্রাঙ্গণও হয়ে উঠবে পর্যটকদের আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্র।