জাতীয় ভোটার দিবসে মুখ্যমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের
পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রতিক নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকার জন্য পুরস্কার পেলেন বাংলার ভোটকর্মীরা। মঙ্গলবার জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষে নয়াদিল্লির অশোকা হোটেলে এক অনুষ্ঠানে তাঁদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ভারতের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র। ভোটদানের যাবতীয় সুবিধার লক্ষ্যে ইলেকশন ম্যানেজমেন্টের জন্য সেরা ইলেকটোরাল প্র্যাকটিসের সম্মান পেলেন হাওড়ার ডিইও মুক্তা আর্য। ভোটদানের হার বাড়ানোর লক্ষ্যে বিশেষ উদ্যোগী হওয়ায় একইভাবে সম্মানিত হলেন উত্তর ২৪ পরগণার ডিইও সুমিত গুপ্ত। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য পুরষ্কার পেলেন বীরভূমের এসপি নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি। নির্বাচনে নিরাপত্তা অক্ষুন্ন রাখতে ড্রোন ব্যবহারের সাফল্যে সম্মানিত হলেন দক্ষিণ ২৪ পরগণার এসপি বারুইপুরের কামনাশিস সেন। বাংলার প্রতিবন্দ্বী ভোটারদের ভোটদানে উৎসাহিত করার জন্য পুরস্কার পেলেন জীজা ঘোষ। এদিন জাতীয় ভোটার দিবসের কলকাতার অনুষ্ঠানে রাজ্যের তিন জেলাশাসককেও পুরস্কৃত করা হয়।
অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গে ভোটের জেতার পর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সৌজন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র। এদিনের অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি হিসেবে তৃণমূলের তরফে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যসভার এমপি সুখেন্দুশেখর রায়। তাঁর সঙ্গে সুশীল চন্দ্রের কথা হয়। তখনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছার কথা জানান। প্রত্যুত্তরে সুখেন্দুবাবুও জানান, নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা সর্বদা নিরপেক্ষ, এই বিশ্বাসেই মানুষ ভোটদানে উৎসাহিত হয়। তাই কমিশনের কাজে তৃণমূল সর্বদা সহযোগিতা করবে।
এদিকে, জাতীয় ভোটার দিবসে নির্বাচন কমিশনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে স্রেফ বিরোধী রাজনৈতিক দলেরই নয়, আদালতেরও সমালোচনা করে বসলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। তিনি বলেন, সম্প্রতি সংসদে নির্বাচনী আইন সংশোধন হয়েছে। কিন্তু বিরোধীদের হল্লায় ভালো করে কেন সংশোধন, নির্বাচন কমিশনের কী ভূমিকা, তা বলারই সুযোগ পাইনি। তাই বলছি, নির্বাচন কমিশন যেভাবে সংস্কারের লক্ষ্যে নিরপেক্ষ অবস্থানে রাতদিন কাজ করে, দেশের জন্য ভাবে, তার পরেও আদালতের বিচারপতিরা অনেক সময়ই যে ভাষায় কড়া মন্তব্য করেন, তা ঠিক নয়।
অন্যদিকে, জাতীয় ভোটার দিবসে দলীয় কর্মীদের মধ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আরও বেশি করে মানুষকে ভোটদানে উৎসাহিত করার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মেদি। তিনি বলেন, ‘পঞ্চায়েত থেকে লোকসভা, আমাদের সকলেরই টার্গেট হওয়া উচিত আরও বেশি ভোটদান। স্বাধীনতার ৭৫ বছরে আমাদের লক্ষ্য, নির্বাচনে ৭৫ শতাংশ ভোটদান। তারই লক্ষ্যে কাজ করুন।’ অপরদিকে এদিন জাতীয় ভোটার দিবসের কলকাতার অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী বলেন, অন্য রাজ্যের তুলনায় আমাদের রাজ্যের ভোটদানের হার বেশি। বাংলার মানুষ অনেক সচেতন। অনুষ্ঠানে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক আরিজ আফতাব বলেন এদিন তিনজন জেলাশাসককে পুরস্কৃত করা হল। ত্রুটিমুক্ত ভোটার তালিকার জন্য নদীয়ার জেলাশাসক শশাঙ্ক শেট্টিকে, অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের জন্য জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসুকে এবং সুইপের কাজের জন্য বাঁকুড়ার জেলাশাসককে পুরস্কৃত করলেন মুখ্যসচিব।